28 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ৭:৫০ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
দশ বছরে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার বন্যপ্রাণী
প্রাণী বৈচিত্র্য

দশ বছরে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার বন্যপ্রাণী

দশ বছরে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার বন্যপ্রাণী

২০১২ সালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন প্রণয়ন এবং বন অধিদফতরের অধিনে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১০ বছরে পাচারের সময় প্রায় ৩৮ হাজার জীবন্ত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।

১০ এপ্রিল বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা স্বচ্ছাসেবীদের নিয়ে ১০ দিনব্যাপী ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও বন্যপ্রাণী হ্যান্ডেলিং’ শীর্ষক এই কর্মশালা চলছে রাজধানীর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের সভাকক্ষে।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া।



সভাপতিত্ব করেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন এবং সঞ্চালনা করেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বন্যপ্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার জন্য যা যা করণীয় তা আমাদেরকে করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সচেতনতার অভাবে এবং আরও বিভিন্ন কারণে অনেকে বন্যপ্রাণী নিধন ও শিকার যেমন করছে, তেমনি বণ্যপ্রাণী নিধন ও পাচারের সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রও জড়িত।

মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বন্যপ্রাণী নিধন যেমন কমে আসছে, তেমনি বিদেশে পাচারও হ্রাস পাচ্ছে। তবে বন্যপ্রাণী নিধন পুরোপুরী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া বলেন, বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার আইনত দণ্ডণীয় এই অপরাধ। যারা এই অপরাধের সাথে জড়িত থাকে, তারা আরও অনেক বড় বড় অপরাধের সাথেও সম্পৃক্ত থাকে।

যারা বন্যপ্রাণী নিধন করে, তারা যেমন প্রাণীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সাথে জড়িত, তেমনি তারা পরিবেশ-প্রতিবেশ বিধ্বংসী কাজেও জড়িত।



তিনি আরো বলেন, পৃথিবীব্যাপী বন্যপ্রাণী পাচার হয় এবং এই সংক্রান্ত অবৈধ ব্যবসা হয়। বাংলাদেশেও এমন অপরাধ হচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগ এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সচেতন তৎপরতার ফলে বন্যপ্রাণী ও এর অংশবিশেষ পাচার যেমন কমে আসছে, তেমনি বন্যপ্রাণী নিধন এবং শিকারও দিন দিন কমছে। ফলে, বিগত ১০ বছরে ৩৮ হাজার জীবন্ত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিধন প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে এ এস এম জহির উদ্দিন আকন বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন্যপ্রাণী রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের পর বিগত ১০ বছরে এই পর্যন্ত এই আইনে সাড়ে তিন শতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব আশার দিক।

নার্গিস সুলতানা বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট খুবই অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও তারা সীমিত জনবল দিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। এই ইউনিটে জনবল বৃদ্ধিতে তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত