37 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৩:৫১ | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
দখল আর ভরাটে মৃতপ্রায় বাঁশখালী জলকদর খাল
পরিবেশ দূষণ

দখল আর ভরাটে মৃতপ্রায় বাঁশখালী জলকদর খাল

দখল আর ভরাটে মৃতপ্রায় বাঁশখালী জলকদর খাল

পাহাড় ও সাগরের অপূর্ব মিতালির এক অনন্য জনপদ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা। এই উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত খালটিই জলকদর খাল নামে পরিচিত। ১৫০ বর্গমাইলের এই উপজেলার ঐতিহ্যের বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে জলকদর খাল। খানখানাবাদের উত্তর সীমান্তে ঈশ্বরবাবুর হাট পয়েন্ট ও রাতারকুল গ্রামের জেলেপাড়া ঘেঁষে জলকদর সাঙ্গু নদে মিলিত হয়েছে।

জলকদর খাল শঙ্খ নদ হয়ে খানখানাবাদের অভ্যন্তরে বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, গন্ডামারা, শীলকূপ, ছনুয়া, শেখেরখীল মধ্যবর্তী হয়ে আবারও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে মিলেছে।

একটা সময় বাঁশখালীর অনেক ব্যবসায়ী নৌকা ও সাম্পানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে এই জলকদর খাল হয়ে মালামাল নিয়ে আসতেন শঙ্খ নদপথে। কিন্তু জলকদর খালের অধিকাংশ এলাকা অবৈধ দখলদার ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় আগের সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। এখন আগের মতো সেই চিত্র তেমন একটা চোখে পড়ে না।

দখল আর ভরাটের পরিপ্রেক্ষিতে সরু হয়ে আসছে এই খাল। ফলে নৌকা চলাচলে যথেষ্ট অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আগের মতো মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না।



বলা যায়, জালিয়াখালী বাজার, বাংলাবাজার, সরকারহাট ও শেখেরখীল ফাঁড়িরমুখ বাজার মাছ বেচাকেনায় জমজমাট থাকে। খালের এসব অংশে মোটামুটি পানির প্রবাহ থাকায় মাছের নৌকা, অন্যান্য নৌকা-সাম্পান চলাচল রয়েছে।

আবার এসব এলাকায় দখলও বেশি হয়েছে, যা চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া খালের তীরে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। চর ও বাঁধ দখল করে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি। বাস্তুহারা হয়ে অন্য জায়গা থেকে এসে চরে ঘরবাড়ি বেঁধে বসবাস করে আসছেন অনেকেই।

অপর দিকে জলকদর খালের সঙ্গে বাঁশখালীর পূর্বাঞ্চলের আটটি পাহাড়ি ছড়ার প্রবাহিত পানি খালে নামার জন্য অবস্থিত অধিকাংশ স্লুইসগেট নানাভাবে দখল ও বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যার সৃষ্টি হয় খালের পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলোয়।

বলতে গেলে, এ জলকদর খালটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও নানাভাবে দখলদারের দখলদারত্বে থাকায় বর্তমানে পানিনিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়ে সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অল্প বৃষ্টি হলেই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসলি জমি। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।

বলতে গেলে, একসময়ের জনগুরুত্বপূর্ণ এই ঐতিহ্যবাহী জলকদর খালটি আগের রূপে নেই। কালের বিবর্তনে হারিয়ে ফেলেছে তার রূপ ও যৌবন। বর্তমানে এ জলকদর খালকে অনেকটা মৃত বললেই চলে। অথচ নদীমাতৃক এ দেশে এমন একটা বিষয় সচেতনমহলকে দারুণভাবে ভাবায়।

তবে খালটি খনন করে পুনরুদ্ধার করা হলে হাজার হাজার একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। কৃষিপণ্য, লবণ চাষ, মাছ উৎপাদন ও পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। বাঁশখালী নয়, দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অতীতের মতো বড় অবদান রাখবে এই জলকদর খাল। এ জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

এমন সম্ভাবনাময়ী জলকদর খালকে হেয়-অবহেলায় হারিয়ে যেতে দিলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি একটা সময় পুরো খালটিই বিলীন হয়ে যাবে। হারিয়ে ফেলা জলকদর ফিরে পাক তার হারানো যৌবন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত