রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিবচন্ডী এলাকায় একটি চা বাগানে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। এ সময় দুজন প্রাণীটি দেখতে পান। তাঁরা বাঘ মনে করে স্থানীয়দের ডেকে জড়ো করে তাড়া করেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বাঘের বাচ্চা মনে করে স্থানীয়দের হাতে আটক বনবিড়ালটি মরে গেছে। সোমবার সকালে মৃত বনবিড়ালটির ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
রোববার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকায় গিয়ে বন বিভাগের লোকজন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা বনবিড়ালটি উদ্ধার করেন। খাঁচায় ভরার সময় প্রাণীটি মারা যায়। রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি চা বাগান থেকে বাঘের বাচ্চা ভেবে বনবিড়ালটিকে আটক করেন স্থানীয়রা। বনবিড়ালটিকে প্রথমে একটি গাছের সঙ্গে এবং পরে একটি খুঁটিতে বেঁধে রেখে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন তাঁরা।
খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন। তাঁরা ছবি তুলে দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে পাঠান। পরে দিনাজপুর থেকে জানানো হয়, সেটি বাঘ নয়, বনবিড়াল। রাতে বন বিড়ালটিকে খাঁচাবন্দী করার সময় প্রাণীটি মারা যায়।
তেঁতুলিয়া উপজেলা বন বিভাগের বীট কর্মকর্তা শহীদুর রহমান বলেন, ‘প্রাণীটি প্রায় তিন থেকে চার বছর বয়সী। উচ্চতা এক ফুট। দৈর্ঘ্য দুই ফুট হবে। রোববার বিকেলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ কার্যালয়ে পাঠাই। সেখান থেকে প্রাণীটি বনবিড়াল বলে আমাদের জানানো হয়। রাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য খাঁচায় ভরার সময় বনবিড়ালটি মারা যায়।’
পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বলেন, ‘বনবিড়ালটিকে ধরার সময় তাকে ধাওয়া করায় প্রাণীটি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া সারা দিন কোনো কিছু না খাইয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এতে প্রাণীটি আরও দুর্বল হয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রাণীটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটিকে জাদুঘরে পাঠানো হবে।’ এ ধরনের প্রাণীকে ধাওয়া করে না ধরার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।