35.8 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৯:৪৫ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে যশোরে আলু চাষিরা
কৃষি পরিবেশ

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে যশোরে আলু চাষিরা

তীব্র শীতে এবং ঘন কুয়াশায় আলু গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে একই সাথে দেখা দিয়েছে গোড়ায় পচন । আর এতেই চাষিরা মারাত্মক ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় এ বছর আলুর ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন যশোরে আলু চাষিরা।

মাত্র ৪৫ দিনের ব্যবধানে দুই দফা শৈত্যপ্রবাহ, মধ্যরাতে অসময়ের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও তীব্র ঘন কুয়াশার কারণে আলু খেতে দেখা দিয়েছে এরুপ সমস্যা। এদিকে লোকসানের আশঙ্কায় অনেক চাষিই এখন অপরিপক্ব আলু তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন এখন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরের আট উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে  চাষ হয়েছে আলু।

চাষের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলু খেতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে ফলনের শেষ মুহূর্তে তীব্র ঘন কুয়াশা ও দুই দফা মৃদু বৃষ্টির কারণে আলু খেত লেটব্লাইট রোগে নষ্ট হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অধিকাংশ খেতের আলু গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে ও গোড়ায় পচন দেখা দিয়েছে। এতে চাষিরা মারাত্মক ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

তারা বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ সময়ে খেতে গাছের গোড়ায় যখন আলুর ফলন আসতে শুরু করে ঠিক তখনই যশোরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শুরু হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কয়েকদিনেও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

প্রতিটি খেতের আলু গাছ শুকিয়ে হলুদ বর্ণ হতে থাকে, বলেন তারা।

এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জমিতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করে কিছুটা প্রতিকার পেলেও দুই সপ্তাহ পর আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। লেটব্লাইট রোগ ফের দেখা দেওয়ায় অনেকে ভয়ে অপরিপক্ব আলু তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্দ্র অবস্থায় লেটব্লাইট রোগ দেখা দেয় এবং যদি উপযুক্ত ছত্রাকনাশক ব্যবহার না করা হয় তবে প্রথমবার এ রোগ দেখা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি পুরো উদ্ভিদকে ধ্বংস করতে পারে।

দেখা যাচ্ছে আলুর কাণ্ডগুলো প্রায়শই নরম, পচা ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয় আর তা দ্রুত পাশের আলুগুলোকে দুর্গন্ধযুক্ত, পচার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে।

যশোর সদর উপজেলার নোঙরপুর মাঠের কয়েকজন কৃষক বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে স্প্রে করা হলেও কাজ হচ্ছে না। কৃষকদের জন্য বিষয়টি উদ্ভট লাগছে।

আলু চাষি হাসমত আলী বলেন, এ বছর ধার-দেনা করে দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। শুরুতে গাছও হয়েছে খুব ভালো। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে সেগুলো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ১৫ থেকে ২০ দিন পর এসব আলু তুলে বাজারে নিলে ফলন বেশি হতো। কিন্তু আলুর পচন ধরার ভয়ে আমরা আর খেতে রাখতে চাচ্ছি না।

এদিকে যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এমদাত শেখ বলেন,  ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় আলু খেত পরিদর্শন করা হয়েছে। কিছু কিছু খেতে এ ধরনের সমস্যা আছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে আলু খেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত