কুড়িগ্রামে উজানের পানির ঢলে ও অবিরাম বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলে নিম্নাঞ্চলের অনেক নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় নদী চরের অনেক মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই চর থেকে নদীর কাছাকাছি উঁচু স্থানে যেতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সামান্য কমলেও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার নীচ দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই গত এক সপ্তাহে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণেও নদ-নদীর পানি প্রতিদিন বাড়ছে বলে জানায় এ অফিসটির কর্মকর্তা।
এদিকে,পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলের মানুষের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে এসব এলাকার অনেক স্থানে প্রচণ্ড নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত তিন দিনে জেলার সদর, উলিপুর ও চিলমারীতে ব্যাপক নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পাট ও বিভিন্ন সবজি খেত তলিয়ে গেছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বন্যা আশঙ্কা চরের কয়েক লক্ষ মানুষের। যে কোনো মুহূর্তেই তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন নদী অববাহিকার মানুষজন।