34.6 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৯:২৪ | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
তিন দেশ মিলে হাতি ও বাঘের আবাসস্থলের সংযোগ স্থাপিত করা হবে
আন্তর্জাতিক পরিবেশ প্রাণী বৈচিত্র্য

তিন দেশ মিলে হাতি ও বাঘের আবাসস্থলের সংযোগ স্থাপিত করা হবে

তিন দেশ মিলে হাতি ও বাঘের আবাসস্থলের সংযোগ স্থাপিত করা হবে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনাধীন ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন করিডোর’ হাতি ও বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ জন্য ভারত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালং, সাঙ্গু হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তঃদেশীয় নির্বিঘ্ন চলাচলের পথ বা করিডোর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে। এটা করা সম্ভব হলে এই তিন দেশের হাতি ও বাঘের খণ্ডিত আবাসস্থলগুলোর ভিতর সংযোগ স্থাপিত হবে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বন অধিদফতর আয়োজিত “ফিজিবিলিটি স্টাডি অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াইল্ড লাইফ করিডোর ইন চট্টগ্রাম, চিটাগাং হিলট্রাক্টস অ্যান্ড কক্সবাজার উইথ মিয়ানমার অ্যান্ড ইন্ডিয়া” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের “ন্যাশনাল রেজাল্ট শেয়ারিং অ্যান্ড কনসালটেশন ওয়ার্কশপ”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই করিডোর করা সম্ভব হলে এই প্রাণী দুটির প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং একই সঙ্গে এই অঞ্চলের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ অগ্রসর হতে পারবো।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ অন্যরা।

প্রজেক্টের সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য দেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রকিবুল আমীন। কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন করিডোর প্রজেক্টের ন্যাশনাল এক্সপার্ট এম মনিরুল এইচ খান।

বনমন্ত্রী বলেন, বনভূমির অভ্যন্তরে বসতি স্থাপন, বনভূমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বনভূমি সংকুচিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণী হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও চারণভূমি।

ফলশ্রুতিতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে মানুষ ও বন্যপ্রাণী উভয়ই প্রাণ হারাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার (আইইউসিএন) ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে এশীয় হাতির সংখ্যা সর্বমোট প্রায় ২৬৮টি এবং ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বমোট বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা প্রায় ১১৪টি।

দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিগুলো বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে। এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যেই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বন অধিদফতর এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের আন্তঃদেশীয় ও দেশের অভ্যন্তরীণ চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চলতি বছর জুন মাসে এ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার কার্যক্রম গ্রহণ করে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত টিকে থাকা বন্যপ্রাণীদের রক্ষার অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা প্রজেক্টের বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত