28 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৩:২০ | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
তারাপীঠ শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু না হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
পরিবেশ দূষণ

তারাপীঠ শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু না হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

তারাপীঠ শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু না হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে এখনও তারাপীঠ শ্মশানে চালু হয়নি বৈদ্যুতিক চুল্লি। প্রকাশ্যে কাঠের চিতায় পোড়ানো হচ্ছে শবদেহ। এদিকে এখন তেমন যাত্রী না থাকা সত্বেও অপরিষ্কার তারাপীঠ।

তাই আবারও জাতীয় পরিবেশ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। যদিও জেলা প্রশাসক বিধান রায়ের বক্তব্য, ‘তারাপীঠের বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হওয়া এখন মাএ সময়ের অপেক্ষা।

আমরা এজেন্সিকে চার্জ বুঝিয়ে দিয়েছি। ডোমেদের সমস্যা গুলো নিয়ে চলতি সপ্তাহে বৈঠক হবে। এছাড়া কিছু সংস্কারের প্রশ্নও আছে।’

প্রসঙ্গত, তারাপীঠের দূষণ নিয়ে এর আগে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। আদালতে জয়দীপবাবু জানিয়েছিলেন, তারাপীঠে যত্রতত্র হোটেল চালু হয়েছে।



অধিকাংশ হোটেলের নোংরা পানি দ্বারকা নদীতে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে। যেখানে সেখানে নোংরা ফেলার কারনেও দূষণ ছড়াচ্ছে। শ্মশানের চারপাশ খোলা রেখে মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে। তাতে শিশুমনেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

আদালত তারাপীঠের দূষণ রোধে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছিল। প্রতিটি হোটেলকে তাদের হোটেলের পানি পরিস্রুত করে নদীতে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাস্তাঘাটে বর্জ্য আবর্জনা ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

শ্মশানে যেখানে মৃতদেহ দাহ করা হয়, সেখানে ঘিরে ফেলার পাশাপাশি বৈদুতিক চুল্লি নির্মাণের নির্দেশও দেওয়ায় হয়েছিল। নির্দেশের পর প্রথম দিকে রাস্তাঘাটের আবর্জনা তুলে ফেলা হলেও এখন আবারও নোংরায় মুখ ঢাকছে তারাপীঠ। প্রথম দিকে শ্মশান চত্বর টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হলেও এখন আর সেটা নেই বলে অভিযোগ।

বৈদ্যুতিক চুল্লি করা হলেও আজ পর্যন্ত তা চালু করা যায়নি স্থানীয় জটিলতার জেরে। গত সপ্তাহে রাজ্যে করোনা (Corona Virus) নিয়ে বিধিনিষেধ জারি থাকার মধ্যেই জয়দীপবাবু তারাপীঠ যান।

তিনি বলেন, ‘তারাপীঠের দূষণ রোধে জন্য আমি মামলা করেছিলাম। কিন্তু সেই নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবে মানা হয়নি। এখনও রাস্তাঘাট অপরিষ্কার। নোংরা পানি দ্বারকা নদীতে সরাসরি পড়ছে।

এখনও বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু না করার ফলে দূষণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রশাসন আদালতের নির্দেশ না মানলে পুনরায় আমি আবার আদালতের মামলা করবো। তারা মায়ের ভূমিকে এভাবে দূষিত হতে দিবো না।’

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত