30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৩:০৪ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
ঢাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দদূষণের মাত্রা
পরিবেশ দূষণ

ঢাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দদূষণের মাত্রা

ঢাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দদূষণের মাত্রা

রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকদের আইন, বিধি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ঢাকা শহরের বিনা কারণে হর্ণ বাজানোর মাধ্যমে শব্দদূষণের মাত্রা বাড়চ্ছে বলে এক আলোচনায় উঠে এসেছে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের সঙ্গে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।



পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর (যুগ্মসচিব), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকরা, বিআরটিএ প্রতিনিধি, ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও, উবার, সহজ, ওভাই, চালডাল.কম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, ২০১৭ সালের বিআরটিএ সড়কের যানজট হ্রাস, জনগণের মূল্যবান শ্রমঘণ্টা ও জ্বালানি অপচয় হ্রাসসহ পরিবেশ রক্ষায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোটরযান (মোটরসাইকেল, মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস ইত্যাদি) ব্যক্তি মালিক কর্তৃক ব্যবহারের পর অতিরিক্ত সময়ে ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের মাধ্যমে সড়কে মোটরযানের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার উদ্দেশ্যে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ণ করে।

বিআরটিএ ১৪টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়। নীতিমালায় বিদ্যমান মোটরযান আইন ও বিধিসহ রাইড শেয়ারিং মোটরযান চালককে ট্রাফিক আইন ও অন্যান্য বিধি-বিধান মেনে চলার কথা বলা হলেও বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটছে।

তিনি জানান, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমানো, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও সেবার ধরনের নতুনত্ব আনয়ন করা রাইড শেয়ারিং চালুর উদ্দেশ্য থাকলেও এই সেবার চালকদের আইন, বিধি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ঢাকা শহরের বিনা কারণে হর্ণ বাজানোর মাধ্যমে শব্দদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি ঢাকা শহরে দুটি (সচিবালয় ও আগারগাও) নীরব এলাকা ঘোষণা করা হলেও এটি সম্পর্কে তারা যথাযথভাবে অবহিত নয়। শব্দদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার ২০১৭ সালে প্রকল্প গ্রহণ করে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবুও শব্দদূষণ সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।



স্বাধীনতার পর বিশেষ করে বিগত এক দশকে বাংলাদেশে সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই উন্নয়নে ধারাবাহিকতা এবং ইতিবাচক পরিবর্তনগুলোকে ধরে রাখতে সবাইকে গুণগত মানের দিকে নজর এবং সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয় ও সহযোগিতায় ঢাকা শহরকে শব্দদূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও যাতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবার অংশ নিতে পারে সে কারণে আমাদের সবার নিজ নিজ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন থেকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান হুমায়ুন কবীর।

এ বিষয়ে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ২৪ হাজার ১৬০টি মোটরসাইকেলকে এনলিস্টেড সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান তা নবায়ন করেছে এবং বাকি ১০টি প্রতিষ্ঠান করেনি।

সভায় উবার, পাঠাও, সহজ, সিএনএস লিমিটেড এবং চালডাল.কমের প্রতিনিধিরা জানান যে, রাইড শেয়ারিংয়ের চালকদের সড়ক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও বিনা কারণে হর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে শব্দ দূষণের বিষয়ে তাদেরকে তেমনভাবে সচেতন করা হয়নি। তারা পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএর সহযোগিতা নিয়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন বলে অবহিত করেন।

তারা এখন থেকে শব্দদূষণ বিষয়ে বিভিন্ন বার্তা ও টিভিসি ওয়েবসাইট এবং নিজ নিজ অ্যাপের মাধ্যমে গাড়িচালক ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে প্রচার করবেন বলে নিশ্চয়তা দেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত