পরিবার ও সমাজে গ্রামীণ নারীর অবস্থানের মূল্যায়ন করার লক্ষ্যেই ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় ১৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালনের সিদ্ধন্ত গৃহীত হয়। কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের ভূমিকার প্রতি স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার রেজুলেশন নম্বর ৬২/১৩৬-এর মাধ্যমে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।উল্লেখ্য, গত ২০০৮ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোয় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন হয়ে আসছে।
প্রতি বছরের মতো এবারেও দিবসটি পালন করা হয়েছে।এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয়.‘গ্রামীণ নারী ও কন্যাশিশুদের তৈরী জলবায়ু সহনশীলতা।’
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিয় গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গ্রামীণ নারীদের কথা শুনে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের জ্ঞান ব্যবহার করে সরকারগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। ব্যবসায়ী ও নেতাদেরও তাদের আওয়াজ শুনতে হবে।’
গুতেরেস আরও বলেন, ‘তারা জ্ঞানের ভান্ডার। তাদের প্রকৃতিলব্ধ জ্ঞান সবাইকে আরও ঋদ্ধ করতে পারে। তাদের কম কার্বন সমাধান থেকে জাতিসংঘও শিখছে। তাদের সবুজ শক্তির প্রতি আগ্রহকে যদি উদ্যাগে পরিণত করতে পারা যায়, তবে আমরা নতুন এক বিশ্ব পাবো।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে, বিশ্বের প্রতি ৩ জনে একজন নারী কৃষিকাজে জড়িত। এই খাতটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছে। এই খাতে খরা, বন্যা এবং পোকার আক্রমণ বৃদ্ধির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলোর প্রাকৃতিক সমাধানে বড় ধরণের ভুমিকা পালন করছেন এতে ব্যাপৃত নারীরা। উদাহরণ দিয়ে জাতিসংঘ বলছে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার নারীদের কথা। তারা নিজ উদ্যোগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও লবনাক্ততা প্রতিরোধে প্রাকৃতিক পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন। এর মাধ্যমেই তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করছে।