জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিক নয়া উদ্যোগ চায় বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা চায় বাংলাদেশ।
রবিবার ( ৫ জুন) সুইডেনের স্টকহোমে আয়োজিত, স্টকহোম+৫০ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সভায় দেয়া বক্তব্যে এ বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সভার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে মোমনে বলেন, ‘সকলের জন্য একটি স্থিতিশীল, সুস্থ ও উন্নত বিশ্ব গড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবস্থান সম্পর্কে নতুন করে ভাবার সুযোগ দিয়েছে স্টকহোম+৫০।’
আব্দুল মোমেন, বিশ্বকে বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ এবং ‘প্লান্টারি ইমার্জেন্সি’ পরিকল্পনাসহ অন্যান্য বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জাতিসংঘের আহ্বানে ও কেনিয়া সরকারের সহায়তায়, সুইডেন এই স্টকহোম+৫০ সভার আয়োজন করে।
‘স্টকহোম+৫০: এ হেলদি প্লানেট ফর দ্য প্রোসপারিটি অব অল-আওয়ার রেসপন্সিবিলিটি, আওয়ার অপরচুনিটি’- এই থিম নিয়ে ১৯৭২ সালে, মানব পরিবেশের ওপর জাতিসংঘ আয়োজিত সম্মেলনের স্মরণে এবং বৈশ্বিক পরিবেশগত কর্মকাণ্ডের ৫০ বছর উদযাপনে, এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের প্রায় ১৫০ সদস্য, জাতিসংঘের বিশেষায়িত বিভিন্ন এজেন্সি, আইজিও এবং আইএফআই-এর প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
স্টকহোম+৫০ সভার পাশাপাশি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে বুঝতে, তাদের জন্য ভাবতে ও করণীয় পদক্ষেপ সংক্রান্ত একটি আন্তঃপ্রজন্মীয় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়াও, তিনি ইউনাইটেড ন্যাশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) প্রশাসক এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে, ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার প্যারিস চুক্তিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।