জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতিপুঞ্জের উদ্বেগ প্রকাশ
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অশনি সংকেত শোনালো সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ। জাতিপুঞ্জের কথায় বর্তমানে যে ভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটতে থাকছে তাতে আগাম কোন সর্তকতা জারি করা সম্ভব নয়।
রিপোর্টে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পক্ষ থেকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে বহু দেশ গ্রীণ হাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে ব্যার্থ হয়েছে। যার ফলে বিশ্ব উষ্মায়ন বেড়ছে।
প্রসঙ্গত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে জলবায়ু সম্পর্কিত বিপর্যয়। জাতিপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী গত পাঁচ দশকে জলবায়ু সম্পর্কিত খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ মিলিয়ল ডলার প্রতিদিন।
এই বিষয় জাতিপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মন্তব্য করেছেন যে, পাকিস্তানে এই বছরের বন্যা, ইউরোপে তাপপ্রবাহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কিছু অংশে খরা পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন রোধে দেশ গুলির ব্যর্থতার কারণে ঘটেছে।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতিপুঞ্জের বিভিন্ন সংস্থা পক্ষ থেকে যেই সার্ভে করা হয় তাতে লক্ষ করা গিয়েছে যে প্যারিস চুক্তিকে গ্রীণ হাউস গ্যাস নির্গমনের বিষয় যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা মানা হয়নি বহু দেশে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রে গ্রীণ হাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে কমার বদলে।
গত বছর, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিপুঞ্জের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশ একত্রিত হয়েছিল। সেখানে অন্যান্য মিথেন গ্যাস সংক্রান্ত দূষণ, বন নিধন এবং কয়লা অর্থায়নের বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু প্রকাশিত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ২০৩০ সালের জন্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রস্তাবিত বিশ্ব উষ্ণতাকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে চারগুণ বেশি এবং বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার জন্য সাত গুণ বেশি উষ্মতা কমানোর প্রয়োজন রয়েছে। বিজ্ঞানীদের কথায় অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে আগামী পাঁচ বছরে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।
রিপোর্টটিতে উল্লেখ রয়েছে যে, আন্তর্জাতিক চুক্তির দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বিশ্ব উষ্ণতা হ্রাস করতে ব্যর্থ হলে জলবায়ুর একটি বড় অংশের পরিবর্তনের ফলে সম্ভবত অনেক গুলি টিপিং পয়েন্ট তৈরি হবে।
টিপিং পয়েন্ট গুলির মধ্যে রয়েছে গ্রিনল্যান্ড এবং পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় বরফের শীট নষ্ট হওয়া এবং প্রবাল প্রাচীরের মৃত্যুর সম্ভাবনাও রয়েছে।