30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
ভোর ৫:৩৫ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র খাদ্যসংকটে বিশ্ব
জলবায়ু

জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র খাদ্যসংকটে বিশ্ব

জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র খাদ্যসংকটে বিশ্ব

জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ভবিষ্যতে বিশ্ব তীব্র খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা মহামারির মধ্যে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ফলে বিশ্ব এখন এক অভূতপূর্ব খাদ্যসংকটের মুখোমুখি। এই সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে।



সামনের মাসগুলোতে বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতির আর অবনতি ঘটতে পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে।এমনকি বিশ্ব দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভিক্ষের মুখেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকটের এমন প্রেক্ষাপটে অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের মেন্যুতে থাকতে পারে—এমন স্বল্প পরিচিত উদ্ভিদের তালিকা তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে আমরা মিছেকলা দিয়ে সকালের নাশতা সারতে পারি। আর হালকা জলখাবারে রাখতে পারি পান্ডানাস গাছের ফল। বিশ্বজুড়ে আমদানি-রপ্তানি হয় এমন গুটিকয়েক ফসল বা খাদ্যপণ্যের ওপর নির্ভর করে চলার যে বিপদ, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তা আমরা নতুন করে টের পাচ্ছি।

বিশ্বের শীর্ষ গম উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি ইউক্রেন। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দর থেকে গম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য খাদ্যশস্যের পাশাপাশি দেশটির সূর্যমুখী তেল রপ্তানিও এখন বন্ধ।

এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। মাত্র ১৫টি ফসল থেকে আমাদের ৯০ শতাংশ ক্যালরি আসে। কোনো কারণে এই ফসলের সংকট দেখা দিলে তার প্রভাব আমাদের খাদ্যনিরাপত্তায় পড়াটাই স্বাভাবিক। সম্ভাব্য এই বিপদ এড়াতে খাদ্যের নতুন উৎস অনুসন্ধান জরুরি।



আমাদের খাদ্যের ভবিষ্যৎ কী, তা অনুসন্ধানে কাজ করছেন লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যের ক্ষতির ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। ফসলহানির মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে। ফলে বিশ্বজুড়ে প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম দ্রুত বাড়ছে।

লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষক স্যাম পিরিনন বলেন, ‘আমরা যেসব খাবার খাই, তার বৈচিত্র্যকরণের বিষয়টি ক্ষুধা দূর, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করার অন্যতম উপায়।’

এ প্রসঙ্গে স্যাম পিরিনন আরও বলেন, ‘আমরা জানি, বিশ্বজুড়ে হাজারো ভোজ্য উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে। বিভিন্ন জনগোষ্ঠী এগুলো খায়। এখানেই আমরা ভবিষ্যতের এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য কোনো সমাধান খুঁজে পেতে পারি।’

বিশ্বব্যাপী ৭ হাজারের বেশি ভোজ্য উদ্ভিদের মধ্যে মাত্র ৪১৭টি ব্যাপকভাবে জন্মায়। এই উদ্ভিদগুলো খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত