সার্বিয়ার বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত ১৪১ তম আইপিইউ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।এসময় তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করা জরুরি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সার্বিয়ার বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত ১৪১ তম আইপিইউ সম্মেলনে ইমারজেন্সি আইটেমের ওপর বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উন্নত দেশগুলোকে কার্বণ নির্গমণ হ্রাসে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সভায় প্রস্তাব রাখেন ডেপুটি স্পিকার। তিনি বলেন, আঞ্চলিক এবং সমন্বিত দুই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে সংসদ সদস্যগণ জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।
ফজলে রাব্বী বলেন, বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ১৯টি জেলায় প্রায় ৩ কোটি মানুষ বসবাস করে। র চ্যালেঞ্জের সাথে এ মানুষগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত। যদি সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে যায় তাহলে ১৫ শতাংশ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলবর্তী মানুষগুলো উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি রোধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান (বিসিসিএসএপি) ২০০৯ গঠন করা হয়েছে। পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য সাথে সংস্থাটিকে জাতীয় পর্যায়ের সেরা প্রতিষ্ঠান বলা যেতে পারে।বাংলাদেশ অভিযোজন ও উপশম খাতে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে (বিসিসিটিএফ) নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার (৩৮০০ কোটি টাকা) বরাদ্দ দিয়েছে।
সভায় ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্লাইমেট ফিন্যান্স হাব গঠনের প্রস্তাব করে বাংলাদেশ।