জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু বিপর্যয়ে বেশ তলানিতে আছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নৌপরিবহন অধিদফতর আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশ কিছু জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক নৌবহরকে পরিবেশবান্ধব ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে হবে। এ বিষয়ে অত্যাবশ্যকীয় করণীয় ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে দেখতে চাই।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিতে আরও বেশি আগ্রহী হতে আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য ও জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনকানুনসমূহ পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
আমরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, তাহলে জাহাজ থেকে নির্গত কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব। এতে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব কার্বন নিঃসরণহীন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব সবুজ নৌবাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে নৌবাণিজ্যের অংশীজনদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য সেক্টরের তিন শতাধিক বিশিষ্ট পেশাজীবী ও অংশীদারের উপস্থিতিতে উদ্যাপিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম ও নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক।
সেমিনারে বিষয়ভিত্তিক কারিগরি প্রবন্ধ উপস্থাপনের পাশাপাশি মেরিটাইম পাঁচটি সেক্টরে বিশেষ অবদানের জন্য মেরিটাইম অংশীজনদের মধ্য থেকে এ বছরের সেরা পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়।