জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সংস্থা বলেছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রাক-শিল্পায়নের সময়ের তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি রোধ করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য
হ্রাসসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তসরকার প্যানেলের শুক্রবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, বিশ্ব “দ্রুত জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে” এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সরকার ও সংস্থাগুলো “জলবায়ু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার উৎসবে যোগ দিয়েছে”।
গুতেরেস বলেন যে, পৃথিবীতে বর্তমান উষ্ণায়নের গতি ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু আলোচনায় সর্বসম্মত সীমা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির থেকে দ্বিগুণেরও বেশি।
তিনি আরো বলেন, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সীমা বজায় রাখতে বিশ্বকে এই দশকে বৈশ্বিক নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে।
২ হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই দশকে শুধুমাত্র এই ধরনের তীব্র নির্গমন হ্রাস পেলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, তারপরও এই ধরনের ব্যবস্থাগুলোর পাশাপাশি সরকারগুলোকে আরও গাছ লাগাতে হবে এবং এমন প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে, যা ইতিমধ্যে বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডের কিছু অংশ শুষে ফেলতে পারবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আগামী তিন বছরে—২০২৫ সালের মধ্যে—প্যারিস লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়তে দেওয়া যাবে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি বর্তমান নীতিগুলো অব্যাহত থাকে, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি লক্ষ্যমাত্রা “নাগালের বাইরে” চলে যাবে এবং ২০৩০ সালের পরে উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা কঠিন হবে।
গুতেরেস সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দোষারোপ করেছেন, তবে আলাদা করে কোনো দেশের নাম করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, প্রতিবেদনটি “প্রকাশ করে যে জলবায়ু সংকট প্রশমিত করার বর্তমান বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম” এবং এই দশকে “স্বিদ্ধান্ত নেওয়া” হবে।