জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১০০০ কোটি গাছ লাগাবে সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর দেশটি জানিয়েছে, পরিবেশগত আঞ্চলিক কর্মসূচিতে তারা নেতৃত্ব দিতে চায়। সৌদি আরবের ‘মিডলইস্ট গ্রিন ইনিশিয়েটিভ’ বা মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে আরও ৪ হাজার কোটি গাছ লাগানো হবে।
বিশ্বের সবথেকে বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে খ্যাত সৌদি আরবের সমগ্র দেশজুড়ে বিশাল পরিসরে ‘সবুজ বনায়নের উদ্যোগ’ গ্রহণ করতে যাচ্ছে; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এক হাজার কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি তার কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে চায় উল্লেখ করে এই উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে জলবায়ু সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে ভূমিকা রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি অবগত। তেল ও গ্যাসের যুগে আমরা জ্বালানীর বাজারে নিজেদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি, এখন সময় এসেছে আগামীর সবুজ যুগের জন্যও বিশ্বকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার’।
এই উদ্যোগটি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ; সৌদির অর্থনৈতিক-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে এ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া সৌদি অর্থনীতিতে তেল নির্ভরতা কমাতে চান যুবরাজ।
যুবরাজ বলেন, ‘সৌদি আরব এবং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করার জন্য বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ কমানো দরকার; তা না হলে মারাত্মক অর্থনৈতিক ঝুঁকির সম্মুখীন হবে দেশগুলো’।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর দেশটি জানিয়েছে, পরিবেশগত আঞ্চলিক কর্মসূচিতে তারা নেতৃত্ব দিতে চায়। সৌদি আরও জানিয়েছে, তাদের ‘মিডলইস্ট গ্রিন ইনিশিয়েটিভ’ বা মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে আরও ৪০০০ কোটি গাছ লাগানো হবে।
সৌদি যুবরাজের মতে, এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বন পুনরুদ্ধার কর্মসূচী।
তিনি বলেন, সৌদির এই সবুজ উদ্যোগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণকে চার শতাংশেরও বেশি হ্রাসে অবদান রাখবে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে রাজ্যের ৫০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদাও পূরণ হবে।
এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশও বিভিন্ন পরিবেশগত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যেমন কাতার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, আগামী বছরের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের অংশ হিসেবে তারা ১৬ হাজার গাছ রোপণ করবে।
তবে সীমিত পানির জোগান নিয়ে মরুর দেশটিতে কীভাবে এই বিশাল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
সূত্র- দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট