চাঁদের মাটিতেও জলের অস্তিত্ব
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। কিন্তু চন্দ্রযান-২ (Chadrayaan-2) অভিযানের সুফল এখনও পর্যন্ত পেয়ে চলেছে ইসরো (ISRO)। যদিও অভিযানটি তেমন সফল হয়নি।
চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে গিয়ে ব্যর্থ হয় ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তবে সেটির অরবিটার এখনও চক্কর চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদের কক্ষপথে। আর এবার সে চাঁদের (Moon) মাটিতে খুঁজে পেয়েছে হাইড্রক্সিল এবং জলের অণু। চাঁদের ২৯ থেকে ৬২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে ওই নমুনা পাওয়া গিয়েছে। নিঃসন্দেহে এই পর্যবেক্ষণে অনেকটাই উত্তেজিত ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
জার্নাল ‘কারেন্ট সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। সেখানে জানানো হয়েছে চন্দ্রযান-২-এর নয়া পর্যবেক্ষণের কথা। জানা যাচ্ছে, অরবিটারে থাকা ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার চাঁদের তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণচ্ছটা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পেয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল চাঁদে কোন ধাতু কী পরিমাণে রয়েছে তা বোঝা। আর সেটা করতে গিয়েই প্রাপ্ত তথ্য থেকে মিলেছে হাইড্রক্সিল ও জলের অণু।
পর্যবেক্ষকদের দাবি, সৌর বাতাসের সাথে চন্দ্রপৃষ্ঠের বিক্রিয়ায় ওই অণুগুলির উৎপত্তির কারণ। মানুষের প্রথম চন্দ্রাভিযানের পর পাঁচ দশক কেটে গেলেও আজও চাঁদ নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারের এই তথ্য থেকেও নতুন কোনও দিক পাওয়া যায় কিনা সেটাই দেখার। আসলে অন্য গ্রহে অভিযানের ক্ষেত্রে চাঁদে অভিযান এবং তার চরিত্র বোঝা জরুরি বলেই মনে করছেন সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আর সেই কারণেই ভারত-সহ বহু দেশই নতুন করে চাঁদের দিকে মুখ ফিরিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২২ জুলাই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় গতির সমস্যার কারনে ল্যান্ডার বিক্রম ভেঙে পড়ে। যদিও অরবিটারটি অক্ষত থাকায় তা এখনও সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে।
এই ব্যর্থতার রেশ মুছে ফের নতুন মিশনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরো। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ যানে কেবল ল্যান্ডার, রোভার থাকবে। চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারই ওই যানের অরবিটারের কাজ করবে।