আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের তথ্যমতে, চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের এক থেকে দুটি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীত বেশি থাকতে পারে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা গতকাল রোববারের মতোই অর্থাৎ অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, এখন থেকে তাপমাত্রা অল্প অল্প করে কমতে থাকবে। সামনের সপ্তাহের শুরু থেকে শীত বাড়বে। মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশের কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
পঞ্চগড়ে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ সেখানে তীব্র শীত বিরাজ করছে। সেই তুলনায় উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
শীতের তীব্রতা সম্পর্কে আবহাওয়াবিদরা বলেন, তেঁতুলিয়া হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা দ্রুত এবং বেশি কমে এসেছে। ধারাবাহিকভাবে অন্য এলাকাগুলোর তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে কমতে পারে। সাধারণত উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, সিলেট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে। তবে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে পুরো শীতের মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে খুব একটা নামে না। যে কারণে এই দুই বড় শহরে তীব্র শীতের অনুভূতি খুব কমই পাওয়া যায়।
গতকাল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার থেকে শুরু করে নোয়াখালী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে।