ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’(Yaas)-এ বিধ্বস্ত সুন্দরবন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে চার কমিটি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের ১৯টি জেটি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি অফিস, ৬টি জলযান, ২৪টি পাটাতনের রাস্তা, ৯টি পুকুর এবং ভেঙে গেছে ২টি টাওয়ার, আর উড়ে গেছে বন বিভাগের স্টেশনের টিনের চালা।
শুক্রবার (২৮ মে) ৯টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দবনের দুর্গম এলাকায় সবার সাথে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। সাময়িকভাবে এ তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। আসলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে বন বিভাগ ৪টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (২৮ মে) সকালে বনের অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। কিন্তু দুপুরে জোয়ারের সময়ে আবারও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণি এলাকায় হরিণ, কুমির ও কচ্ছপ নিরাপদে রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’(Yaas)-এর প্রভাবে জোয়ারে বাগেরহাটে প্রায় দুই হাজার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে।
বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় ঘেরের পাড় ভেঙে যায় এবং বাঁধ উপচে পানি ঢুকতে থাকে। যার ফলে কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে যায়।
বাগেরহাট জেলার মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, বাগেরহাট জেলার রামপাল, মোংলা, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দুই হাজার ৯১টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে চাষিদের প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, ঘেরের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি মহিতুল ইসলাম সুমন।
এসব বিষয়ে বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী জেলার চার উপজেলা মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের প্রায় ২ হাজার ৯১টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিদের ১ কোটি ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’(Yaas)-এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়। ঝড়ো হওয়া এবং জলোচ্ছ্বাস স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় পানি সুন্দরবনে প্লাবিত করে। ফলে ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।