উপকূলীয় অঞ্চলে থেমে গেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব। কমে গেছে বাতাসের গতিবেগ।বিপদ সংকেত নেমে যাওয়ায় সোমবার দু’একটি কেন্দ্র ছাড়া সব আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাচ্ছে মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের শঙ্কা কেটে যাওয়ার পর স্পষ্ট হতে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।সাতক্ষীরায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা। স্থানীয়দের দাবি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে চিংড়ির ঘেরসহ পুকুরের মাছ।
এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে খোঁজ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে খুলনায় ২ জন, বাগেরহাটে ২ জন, পটুয়াখালী ১ জন, পিরোজপুরে ১ জন, মাদারীপুরে ১ জন, ভোলায় ১ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, শরীয়তপুরে ১ জন, বরিশালে ১ জন, গোপালগঞ্জে ১ জন বরগুনায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ২৪ জেলেসহ মাছ ধরার নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।