38 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:২২ | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে  বাংলাদেশের বেড়িবাঁধগুলো কেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত

প্রায় ৫শ’ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ঘূর্ণিঝড় আম্পান চলে গেলেও ক্ষত রেখে গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়। তবে জলোচ্ছ্বাস ও বাতাসের বেগ তুলনামূলক কম হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের বেড়িবাঁধগুলোর। দুই দেশের আকাশ থেকে নেয়া ছবি বিশ্লেষণ কোরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীর জায়গা ছেড়ে বাঁধ নির্মাণ করলে দুই দেশেই আরো কম ক্ষয়ক্ষতি হতো।

আম্পানের পর আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, সুপার সাইক্লোনের তাণ্ডবে সুন্দরবন লাগোয়া বাংলাদেশ অংশের বেশিরভাগ বাঁধই পুরোপুরি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে শত শত গ্রাম। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫২ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড়ে শুধু খুলনা ও সাতক্ষীরাতেই ১২৬ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে তছনছ হয়ে যায়।

একই সময়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৩ কিলোমিটার বেগে আম্পান আঘাত হানে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতেও। যাতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকার ২৩৬ কিলোমিটার বাঁধ উপচে গ্রাম প্লাবিত হলেও পুরোপুরি বিলীন হয়েছে অনেক কম।

বাংলাদেশে এ অবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ না করাকে। আর ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইলার পর পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলক শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করায় তা ভাঙেনি।

পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র বলেন, আইলার পরে যে বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে তা অনেক বেশি শক্ত, অনেক বেশি মজবুত। বাঁধগুলো ওপরের দিকে প্রশস্ত। নদীর দিকে বাঁধের ঢাল অনেক কম রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, বাংলাদেশের বহু জায়গায় বাঁধের অর্ধেক নদী খেয়ে ফেলেছে। বাঁধের উচ্চতা কমে গেছে। বাঁধ তো আর বাঁধ নেই; এটা ভাঙ্গাচোরা মাটির স্তূপ হয়ে ছিল।

তবে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, নদী প্রশস্ত ও পাড়ে গাছ রোপণ না করলে সমস্যা থেকেই যাবে।

পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র বলেন, দুই বাংলার প্রশাসনের বোঝা উচিত নদীকে প্রসারিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আর বাঁধ নির্মাণ করলেই হবে না। বাঁধের সামনে ম্যানগ্রোভ তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জমি গ্রহণ প্রয়োজন হবে। কাজেই জমি গ্রহণ না করে মাটির বাঁধের সঙ্গে সমন্বিত কংক্রিটের ওয়ালের কথা চিন্তা করা যেতে পারে।

সকল বাঁধ উঁচু ও প্রসস্ত করতে ৩১শ’ কোটি টাকার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, কয়রা দাকোপ অঞ্চলে যেখানে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তা সেনাবাহিনীকে দিয়েছি।

তবে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, প্রাকৃতিক ঝড় থেকে বাঁচতে বাঁধ টেকসইয়ের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে সুন্দরবনকেও। সূত্র: সময় টিভি

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত