আমাদের চারপাশকে নিয়ে আমাদের পরিবেশ। শুধুমাত্র গাছপালা নয় আমাদের চারপাশের পরিবেশ সুন্দর করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিতও জুরুরী। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে পরিষ্কার ও পরিচ্ছনভাবে নগর গড়ে তোলা সম্ভব। আর শহর-নগর পরিষ্কার থাকলে সুস্থ্য পরিবেশ রক্ষার অনেকাংশ পূরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশর অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যা শহর বা নগরের পরিবেশকে আরো উন্নত করে তুলছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের শহর আমাদের নগরের সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি যত্মশীল হয়ে কাজ করাটা জরুরী।
ঢাকার গাজীপুর ও খুলনার বিভিন্ন পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ‘সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪টি পৌরসভা ও ৩টি উপজেলার ৩৫৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৫৩ কিলোমিটার ড্রেন উন্নয়ন, ১ হাজার ৭২২ মিটার ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে।
গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন।
‘সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ নামক প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- ঢাকা-খুলনা বিভাগের নির্বাচিত নগর ও নগর কেন্দ্রীক এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা। ঢাকা বিভাগের একটি সিটি করপোরেশন (গাজীপুর) ৯টি পৌরসভা (সাভার, ধামরাই, কালিয়াকৈর, কাঞ্চন, তারাবো, সোনারগাঁও, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী) ও ৩টি উপজেলা (সাভার, রুপগঞ্জ ও আড়াইহাজার) এবং খুলনা সিটি করপোরেশন ও ৫টি পৌরসভা (চালনা, যশোর, নোয়াপাড়া, ঝিকরগাছা ও মংলা) এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
এ সম্পর্কে সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম পরম বন্ধু হচ্ছে এডিবি। এডিবি আমাদের প্রায় সব সেক্টরেই উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। আমি আশা করি এডিবির ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরাঞ্চলের জীবনমান উন্নয়ন হবে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশ শহরে অবস্থিত। যার ফলে প্রবৃদ্ধির উন্নয়নে শহরের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য টেকসইভাবে শহরের উন্নয়নে আমাদের এ অর্থ ব্যয় করা হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পে মোট খরচ হবে ২২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর মধ্যে এডিবি ১৫ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে দেবে। বাকি ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বাংলাদেশ সরকার দেবে। এডিবি তাদের ঋণের ১৫ কোটি ডলারের মধ্যে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার সহজ শর্তের অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস কনসেশনাল লোন (ওসিআর-সিওএল) হিসেবে দেবে। এই ঋণের সুদ হার ২ শতাংশ। বাকিটা ওসিআরে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।