ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা থেকে বিহারের রাজধানী পাটনাসহ আরও ১২ জেলাকে রক্ষার জন্য ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেটের সবগুলো খুলে দিয়েছে ভারত। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই ভয়ানক।
স্থানীয় এমপির অনুরোধে কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে এমনটাই জানানো হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে ।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি কেন্দ্রীয় সরকারকে উত্তর প্রদেশ ও বিহারের বন্যা পরিস্থিতির প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বন্যায় দুই রাজ্যে ৪৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বিহারে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের একাংশ ও বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মালদা জেলার ফুলহর, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীতে পানি বাড়ছে। সেখানে একাধিক জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও ফুলহর।
হঠাৎ করে সব গেট খুলের দেওয়ার বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সৈয়দ সাহিদুল আলম বলেন, “সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক দিনে ১১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও টানা বর্ষণের কারণেও পদ্মার পানি বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
তিনি জানান, বর্তমানে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৭ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে। দুই দিনের মধ্যে বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করতে পারে। এতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থা চলমান থাকলে বাংলাদেশের জন্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করাটা অনেক কষ্টসাধ্য হবে।
বন্যার পানিতে এদেশের জীববৈচিত্র্যৈর ব্যাপক ক্ষতি হবে। যা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ হুমকি স্বরুপ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনের ফলে কৃষির ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে অন্যান্য সব জীববৈচিত্র্যের। এমন অবস্থা চলমান থাকলে পরিবেশর বিপর্যয় ঘটবে।