কয়লার ব্যবহার বন্ধ করে সৌরশক্তি ব্যবহার করে জ্বালানি তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়াসহ ছয়টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপাসহ ৪০টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন। সম্প্রতি এসব দাবিতে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে তারা।
সমাবেশে ‘কয়লা প্রকল্প বাংলাদেশের পরিবেশ ও অর্থনীতি ধ্বংস করবে; কয়লা ব্যবহার বন্ধ কর, সৌরশক্তি স্থাপন কর, এসডিজি বাস্তবায়ন কর’ দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু সংকট নিরসনে গণকর্মসূচি (সাপাক)।
কয়লা ব্যবহার বন্ধের দাবিতে বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন কয়লা বা জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, সৌর ও অন্যান্য বিকল্প জ্বালানি থেকে করতে হবে।”
তিনি বলেন যে, পশ্চিমা বিশ্বগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে বলে আমাদেরও সেই একই কাজ তাই করতে হবে, কিন্তু এই ধারণাটি সঠিক নয়। এখন আর যেনতেনভাবে উন্নয়ন করার সুযোগ নেই আমাদের।তিনি বলেন, শুধুমাত্র জাতিসংঘ নির্দেশিত টেকসই প্রক্রিয়াতেই করতে হবে তা। আমরা কারও কয়লা ডাম্পিং হতে পারি না। কারণ কয়লা একটি নোংরা জ্বালানি, আর ভালো কয়লা একটি নির্জলা মিথ্যা কথা।”
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ সমুদ্রের নোনা পানির ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আব্দুল মতিন বলেন, “এই শতাব্দী শেষে ক্ষতির শিকার মানুষের সংখ্যা সাত কোটিতে পৌঁছাবে।আজ থেকে আরও ১২ বছর পর নির্গত গ্যাসের পরিমাণ এতই ক্ষতিকর হবে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আর নিয়ন্ত্রণযোগ্য থাকবে না, বিশ্বের সার্বিক মারাত্মক জলবায়ু দুর্যোগ হবে অপরিবর্তনীয়; মানুষসহ সকল জীব-গাছপালা হবে মৃত্যুমুখী।”
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের উপদেষ্টা অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, “আমরা প্রতি বছর গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারি। সবাইকে সম্মিলিতভাবে সরকারকে চাপ দিয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।”
বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ও বাপার নির্বাহী সদস্য মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ, নদী পক্ষের সমন্বয়ক হাসান ইউসুফ খান প্রমুখ।