কারখানার মালিকেরা বেশি পরিবেশ নষ্ট করে: উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, যাঁরা যত বেশি ধনবান, তাঁরা বেশি পরিবেশ নষ্ট করেন। কারখানার মালিকেরা নদ-নদীর পরিবেশ নষ্ট করেন। এর বিরুদ্ধে সরকারের একার পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এ জন্য গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।
বুধবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুন নাহার বলেন, যখন প্রকৌশলীরা রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন, তখন কোন কোন দিক দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে তা না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসেন।
সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে তাঁরা রাস্তা নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে ১০ হাজার গাছ কাটা পড়লেও তাঁদের কোনো কিছু যায় আসে না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি এসব জানতেন, তাহলে কোনোভাবেই অনুমোদন দিতে পারেন না।
সকাল ১০টায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে হাজির হন।
শোভাযাত্রা শেষে মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সভাপতি এস এম ইকবালের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সদ্য অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গবেষক বিধান চন্দ্র দাস।
সম্মেলনে মুক্ত আলোচনায় পরিবেশকর্মীরা বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করতে গেলে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পান না।
প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়তে হয়, বাধা আসে। কর্মীরা হেনস্তার শিকার হন। পশু–পাখি ও জীব রক্ষার্থে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, অপরাধ করলে ধামাচাপা দেওয়ার কোনো পথ নেই। আইন আছে, বাস্তবায়নও আছে। নিজেদের সচেতন হতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেচে মাছ নিধন বন্ধ করা উচিত।
সম্মেলনে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের ২০২৩-২৪ দুই বছর মেয়াদি নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া সম্মেলনে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কাজে নিবেদিত চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, আটজন ব্যক্তিকে বিবিসিএফ অ্যাওয়ার্ড ও ২৭ জন ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।