বর্ষা আসার আগেই ডেঙ্গু আতঙ্কে সারা দেশের মানুষ। করোনাভাইরাসের পাশাপাশি মানুষ এখন আবারও ডেঙ্গু ভয়ে আছে। বর্ষা আসার আগে এবছর জানুয়ারি থেকে এপর্যন্ত ২৬৫ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। এবিষয়ে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ছিল মাত্র ৭২ জন। দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪ গুণ বেশি।
করোনাভাইরাসের সাথে সাথে ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কতটা ভূমিকা রাখখে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে এখন নানান প্রশ্ন আসছে বিভিন্ন শ্রেণি থেকে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে এবছর আরো উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। তথ্যানুযায়ী গত বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিলো মোট ১ লক্ষ ৩৫৪ জন যার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছিলো ১৭৯ জন।
এবছর যদি বৃষ্টি বেশি হয় তাহলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা। যদি বর্ষার পূর্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন গত বছরের তুলনায় এবছর এডস মশার লার্ভার পরিমাণ বেশি। আর তাই আগে থেকেই সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্ষা মৌসুমের পরে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তকরণ জরিপে উঠে আসে দিক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ এবং ৪২ নং ওয়ার্ডে সব চেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়।
এদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন থেকে আমপামি করা হয়েছে ওষুধ আর তা মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু ওষুধ আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য ফোর জেনারেশনের ওষুধ আনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনের জন্য শুধু সরকার কাজ করলে হবে না। সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণেরও একযোগে কাজ করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে নিজেদের চার পাশ। বিশেষ করে শহরের বাড়ির মালিকদের এবিষয়ে বেশি সচেতন হওয়া খুবই প্রয়োজন।