করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ পিপাসুদের সকলে এখন ঘরবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে। দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে অনেক।
শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের সকল দেশই এই ক্ষতি সম্মুখিন হয়েছে। দেশে লকডাউন চলমান থাকায় দেশের প্রকৃতি আজ নিজেদের মতো করে সেজেছে। প্রাণীকূলের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব আশা শুরু করেছে। দাবি উঠেছে প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে নতুন ভাবে ভাবার।
সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান এখন পর্যটন নিয়ে নতুন ভাবে ভাবা শুরু করেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আনুষ্ঠিকভাবে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় ঘোষণা দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এমনটাই জানেয়ছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।
পর্যটনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পর্যটনের উন্নয়নের জন্য নানাভাবে সম্পৃক্ত করা হবে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি পূর্ণ ওয়েবসাইট আপ করবে। যেটাকে পর্যটনের স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট সিস্টেমে রূপ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ সময় সম্মিলিত পর্যটন জোটের পক্ষ থেকে ১৭টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:-
- ১. বাংলাদেশের পর্যটন এলাকাগুলোর ধারণ ক্ষমতা নির্ণয়
- ২. পর্যটনসম্পদ শুমারি পরিচালনা
- ৩. পর্যটন গ্রাম স্থাপন
- ৪. পর্যটন প্রশিক্ষণ পলিসি তৈরি করা
- ৫. জাতীয় পর্যটন গবেষণা সিস্টেম প্রবর্তন
- ৬. ৬৪টি জেলায় ট্যুরিজম বোর্ডের অফিস স্থাপন
- ৭. ২৪ ঘণ্টা ট্যুরিজম হেল্প ডেস্ক ও সমন্বয় শাখা চালু
- ৮. ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম প্রবর্তন
- ৯. বঙ্গবন্ধু পর্যটন পদক ও জাতীয় পর্যটন ট্রফি প্রবর্তন
- ১০. প্রান্তিক পর্যটনকর্মীদের জন্য আপদকালীন তহবিল গঠন
- ১১. পর্যটন রফতানির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
- ১২. ট্যুরিজম আইকন নির্ধারণ
- ১৩. জলাভূমি পর্যটনের নীতিমালা প্রণয়ন
- ১৪. ধর্মীয় পর্যটনের আওতায় বিশ্ব ইজতেমা, বুদ্ধিস্ট সার্কিট ট্যুরিজম, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সীতাপিঠ ও অন্য আকর্ষণগুলোকে গড়ে তোলা
- ১৫. প্রতিদিন সেন্টমার্টিনে ১২০০ এর বেশি পর্যটক যেতে দেওয়া হবে না
- ১৬. সপ্তাহে একদিন সব ধরনের পর্যটক আগমন বন্ধ রাখা হবে
- ১৭. পর্যটনের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ।