করোণা ভাইরাস হতে নিজকে কিভাবে রক্ষা করবেন? (The Guardian অবলম্বনে @hannahdev)
আপনি নিজেকে এবং অন্যকে কিভাবে করোণা ভাইরাস হতে রক্ষা করবেণ -বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে কিছু সহজ সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছে। আর বিশ্বখ্যাত গার্ডিয়ান প্রত্রিকা সেগুলোর চিত্র আকারে সহজ উপস্থাপন করেছে।
জনস্বার্থে এখানে দেয়া হল-
এ ভাইরাসটি কিভাবে ছড়ায়?
কোবিড – ১৯ করোণা ভাইরাসটি পৃথিবীতে একটি নতুন রোগের আর্ভিাব ঘটিয়েছে। এ ভাইরাসটি কিভাবে ছড়াচ্ছে বিজ্ঞানীরা এখনও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও একইরূপ অন্য ভাইরাসগুলো মানুষের হাঁচি-কাশি ও কফের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে।
যখন একজন আক্রান্ত রোগী হাঁচি-কাশি দিচ্ছে বা কফ ফেলছে তারা ফোটায় ফোটায় সেলিভা বা মিউকাস বের করে দিচ্ছে, যা জল কণারূপে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে ।
এ জল কণাসমূহ অন্য ব্যক্তির নিকটে উড়ছে, পড়ছে এবং তারা হাত দ্বারা স্পর্শ করছে এবং হাত দ্বারা যখন মূখ বা নাক স্পর্শ করছে তখনই তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ জন্য আক্রান্ত না হওয়া ব্যক্তিকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া জ্বরের রোগী হতে ন্যূনতম ৬ (ছয়) ফুট দূরে থাকার নির্দেশণা রয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তি হতে ৬ (ছয়) ফুট দূরে থাকুন
আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাঁশির ক্ষেুদ্র ক্ষুদ্র জল কণা, বিন্দুজল যদি কোথায়ও পড়ে, হউক সেটা মাটিতে, ফ্লোরে, গাড়ী বা প্লেনের সীটে বা স্কুলের বেঞ্চে – সর্বত্র স্থান হতেই অন্যরা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে।
ভাইরাস দ্বারা মানুষ হতে মানুষ সংক্রামিত হওয়ার এটাই আসল মাধ্যম এবং ইহা নির্ভর করছে ভাইরাসের বেঁচে থাকার সময়ের উপর সেটা দিন বা মাসও হতে পারে।
অকল্পনীয় প্রমাণ আছে যে কোন ব্যক্তির ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পূর্বেই সে অন্যকে ছড়িয়ে দিতে পারে।
অন্যান্য অনেক অসুস্থ্যতা যেমন ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জার কোন লক্ষণ দেখা দেওয়ার পূর্বেই মানুষ হতে মানুষের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এই করোণা ভাইরাসটি কিভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে তা এখনও অস্পষ্ট।
কিভাবে আপনি নিজকে এবং অন্যকে এ ভাইরাসের সংক্রামন হতে রক্ষা করবেন
ভাল করে হাত ধোঁয়া
ভাল করে হাত ধুয়ে নেয়া :পরিস্কার, প্রবাহিত পানিতে (Running Water) সাবান বা অ্যালকোহল ব্যবহার করে হাত ধৌত করতে হবে। হাতের পিছনে, আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে, নখের ভিতরে সাবানের ফেনা তুলে অন্তত ১০ মিনিট ধরে হাত ভালভাবে ঘঁষে ধুয়ে পরিস্কার করতে হবে।
মূখ ঢাকুন
হাঁচি, কাঁশির সময় মূখ ও নাক টিসু দ্বারা ভাল করে ঢাকতে হবে, তারপর ব্যবহৃত টিসু বা কফ সাবধানে বীণে ফেলতে হবে এবং তারপর ভাল করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি নিকটে বা আশে পাশে কোন টিসু পাওয়া না যায় তবে হাত নয় হাতের কনুই নাকে- মূখে ব্যবহার করতে হবে।
মূখের মাস্ক অনেক প্রতিরক্ষা প্রদান করে
মূখে ব্যবহৃত মাস্ক ভাইরাস সংক্রামণে বেশ প্রতিরোধক, বিশেষ করে বায়ুতে ভাসমান জলকণাকে প্রতিরোধ করে। চোখ সাধারণত মাস্ক এর বাহিরে অনাবৃত অবস্থায় থাকে। এমন অনেক প্রমান আছে যে চোখের মাধ্যমে অনেক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
হসপিটালের সাহায্য নিন
যদি আপনার জ্বর, কাঁশি বা শ্বাস- প্রশ্বাসে অসুবিধা দেখা দেয় জরুরী হাসপাতালের সাহায্য নিন এবং ডাক্তারকে আপনার ভ্রমণ বৃন্তান্ত বলুন।
জীবিত প্রাণীর সংস্পর্শ হতে দূরে থাকুন
যে সব এলাকা এ ভাইরাসে আক্রান্ত সে সব এলাকায় জীবিত প্রাণীর বাজার বা জীবিত প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে, জীবিত পাণী বা পিঠে খোলা হাতে স্পর্শ করা হতে বিরত থাকতে হবে।
কাঁচা বা রান্নাবিহীন খাদ্য এড়িয়ে চলুন
কাঁচা বা রান্না বিহীনখোদ্য বর্জণ করতে হবে।
ভাইরাস আক্রান্ত এলাকা ভ্রমনের পর ২ সপ্তাহ বা ১৪ দিন বাসার অভ্যন্তরে অবস্থান করতে হবে এবং এ সময় অন্য কাহারো সংস্পর্শে যাওয় যাবে না। এ সময় কোন কাজে, স্কুলে বা জনসাধারনের এলাকায় যাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
বাসা হতে বের হওয়ার পূর্বে হাসপাতাল বা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে
আক্রান্ত এলাকা হতে ফিরে আসার পর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, কাঁশি হলে, নাক দিয়ে পানি বের হতে থাকলে, গলা ব্যাথা করলে বা শ্বাস – প্রশ্বাসে আসুবিধা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত বাসা হতে বের হওয়া যাবে না।
মূল: hannahdev