32 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ১:৩৯ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশের মৃত্যুতে দূষত হচ্ছে সমুদ্রসৈকত
পরিবেশ দূষণ

কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশের মৃত্যুতে দূষত হচ্ছে সমুদ্রসৈকত

কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশের মৃত্যুতে দূষত হচ্ছে সমুদ্রসৈকত

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুই দিন ধরে অসংখ্য মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। একেকটি জেলিফিশের ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি। হঠাৎ বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান করার তাগিদ দিচ্ছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা।

স্থানীয় লোকজন বলেন, গতকাল দুপুর থেকে জোয়ারের পানিতে মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। বিকেলে সৈকতের দরিয়ানগর প্যারাসেইলিং পয়েন্টে একসঙ্গে অর্ধশতাধিক জেলিফিশ ভেসে আসে।

রফিক নামের দরিয়ানগর এলাকার এক জেলে বলেন, তিন বছর ধরে তিনি সাগরে মাছ ধরছেন, তবে একসঙ্গে কখনো এত জেলিফিশ ভেসে আসতে দেখেননি তিনি।



কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতের উত্তরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে।

আজ রবিবারও জেলিফিশ ভেসে এসেছে। কিছু জেলিফিশ কুকুর খেয়ে ফেলছে, কিছু বালুর নিচে চাপা পড়ছে। অনেক জেলিফিশ বালুচরে পড়ে আছে। হঠাৎ এত বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান জরুরি।

গতকাল রাত ১০টার দিকে সৈকত থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিক ডিভিশনের প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে মাছ ধরার সব ট্রলার সাগরে নেমেছে।

অন্যান্য মাছের মতো বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশেরও প্রজনন বেড়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলিফিশগুলো জেলেদের জালে আটকে পড়ে মারা গেছে। এখন জোয়ারের পানিতে ভেসে আসছে, তবে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ মৃত্যুর পেছনে সমুদ্রদূষণ কিংবা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



প্রাণঘাতী না হলেও সমুদ্রসৈকতে পড়ে থাকা মরা জেলিফিশের সংস্পর্শে গেলে মানুষের শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ। নির্দিষ্ট সময়ের পর এসব জেলিফিশ জোয়ার-ভাটায় মিলিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।

মৎস্য বিজ্ঞানীরা বলেন, সমুদ্রে একাধিক প্রজাতির জেলিফিশ আছে। ভেসে আসা জেলিফিশগুলো বক্স প্রজাতির। নামের সঙ্গে ফিশ থাকলেও জেলিফিশ কোনো মাছ নয়।

কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে চার হাজারের বেশি ট্রলার ইলিশ ধরতে সাগরে নেমেছে।

প্রতিদিন গড়ে ৩০০ ট্রলার শহরের ফিসারিঘাটসহ জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ার ঘাটে ফিরে আসছে। কিন্তু কোনো ট্রলারের জালে জেলিফিশ ধরা পড়ার খবর নেই।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত