এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে না এলে সামনে ভয়াবহ দিন দেখতে হবে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সর্বস্তরের জনগণের একত্রে কাজ করা প্রয়োজন।
রাজধানীর উত্তরা ১২ এবং ১৩ নম্বর সেক্টরের মোড় গাউসুল আজম এভিনিউ এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে, মশক নিধনে চিরুনী অভিযান সহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, ‘নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ সময়োপযোগী এই স্লোগানটির আলোকে নিজ নিজ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলে, আমাদের লজ্জা দূর করে প্রতি শনিবার সকাল দশটায় ১০ মিনিট করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সকলকেই অংশগ্রহণ করতে হবে।
মেয়র বলেন, বর্তমান করোনা মহামারি চলাকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াতে কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে ২৭ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই ১০ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনী অভিযানসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ভবনে যদি এডিস মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত হয় তাহলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে যা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
মেয়র বলেন, যার যার বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, অব্যবহৃত কমেড, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে কোনভাবেই যাতে ৩ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া মশার বংশবিস্তার রোধে ‘তিন দিনে এক দিন, জমা হওয়া পানি ফেলে দিন।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর কল্যাণের কথা ভেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
নাগরিক সেবায় ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস, জরুরি সেবায় ৩৩৩ নম্বর এবং ডিএনসিসির ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন চালু রয়েছে। ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকে পুরস্কৃত করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজের পরিবারসহ এই শহর এবং দেশকে রক্ষা করার জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে আমাদের সকলকেই সরকারি নির্দেশনাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
পরে, মেয়র নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিরোধী বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে উত্তরার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ী এলাকায় অবস্থিত রাজউক নির্মিত ভবনগুলোর আশেপাশে এডিস মশা বংশবিস্তারের সহায়ক পরিবেশ পরিলক্ষিত হওয়ায় রাজউকের চেয়ারম্যানকে ২ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।