উদ্যোগ নিতে হবে গণমুখী জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা
একটি গণমুখী জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) তৈরির জন্য একটি খসড়া করা হয়েছে। পরিকল্পনাকে আরও কার্যকর করার উপায়গুলো বিশ্লেষণ ও আলোচনা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এ সংক্রান্ত একটি মতবিনিময় ও পরামর্শক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এসব বিষয়ে আলোচনা করেন এবং খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাকে আরও কার্যকর করার উপায়গুলো বিশ্লেষণ ও আলোচনা করেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা, ইউএনডিপি ও ন্যাপ প্রণয়ন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রণীতব্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
একটি গণমুখী পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে টিম লিডারসহ ন্যাপ গঠনকারী দল দেশের উপকূলীয় ও পার্বত্য অঞ্চলের জনগণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন। ন্যাপ প্রণয়ন চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত গণমানুষের মতামত বিবেচনা করা হবে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, ন্যাপ প্রণয়ন প্রকল্প এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (প.দূ.নি) কেয়া খান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা।
কর্মশালায় খসড়া অভিযোজন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ন্যাপ প্রণয়ন টিমের টিম লিডার প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ. খান।