27 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:৩৩ | ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
ইবির জলাশয়ে রং-বেরঙের পাখির সমারোহ
প্রাকৃতিক পরিবেশ

ইবির জলাশয়ে রং-বেরঙের পাখির সমারোহ

ইবির জলাশয়ে রং-বেরঙের পাখির সমারোহ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি তার অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য সকলের কাছেই পরিচিত। শীতের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিনদেশি বাহারি প্রজাতির অতিথি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ে। শীত মৌসুম শুরু হলেই ক্যাম্পাসের লেকে এসব ভিনদেশি পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়।

প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ক্যাম্পাস লেককে বেছে নিয়েছে। ভিনদেশি পাখিদের নিয়ে নতুন রূপে সেজে উঠে লেকটি। ভিনদেশি পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে উঠে লেক পার।



বিভিন্ন দেশ হতে আগত অতিথি পাখিগুলো প্রচণ্ড শীত আর খাদ্য সংকটে অস্তিত্ব রক্ষায় হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে ছুটে আসে বাংলাদেশের মতো কম শীতপ্রধান দেশগুলোতে।

প্রতিবছর নভেম্বর মাসে হিমালয়ের উত্তরে অবস্থিত শীত প্রধান দেশ সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, হিমালয় অঞ্চলের প্রচণ্ড শীত ও ভারী তুষারপাত হয়। ওসব দেশে পাখিরা এত শীত সহ্য করতে না পেরে উষ্ণতার খোঁজে নাতিশীতোষ্ণ প্রধান অঞ্চলগুলোতে চলে আসে।

বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে হওয়ায় প্রতি বছর অসংখ্য প্রজাতির পাখির আগমন ঘটে। দেশের যেসব স্থানে অতিথি পাখির বিচরণ ঘটে তার মধ্যে অন্যতম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শীতের রেশ কেটে গেলেই বসন্তের সময়টাতে এসব অতিথি পাখি আবারও তাদের চিরচেনা ভূমিতে ফিরে যায়।

এ ছাড়া হিমালয়ের উত্তর দিকের দেশ সাইবেরিয়া থেকে বেশি অতিথি পাখি আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে-সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুঁনতে হাঁস, বালি হাঁস, মানিকজোড় প্রভৃতি। অতিথি পাখি ছাড়াও ইবি ক্যাম্পাসে অনেক প্রজাতির দেশীয় পাখির মেলা বসে।

সূর্য ওঠার আগেই লেকের আশপাশে নিজেদের সৌন্দর্য বিলাতে থাকে এসব পাখি। ক্যাম্পাসের হালকা কুয়াশায় এ যেন এক অন্যরকম সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকাল-সন্ধ্যায় ভিড় জমায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আগত দর্শনার্থীরা।



শীতের সময়ে ক্যাম্পাস লেকে বালিহাঁস, লেঞ্জা হাঁস, জলপিপি, সরালি, বড় সরালি, ছোট সরালি, খুনে হাঁস, বালি হাঁস, মানতে হাঁস, পাতারি, সাদা বক, পানকৌড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে।

তবে এ বছর ক্যাম্পাস লেক অতিথি পাখিদের থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লেকের পাশেই নতুন ভবনের কাজ চলমান। ভারী মেশিনের শব্দের কারণে পাখিদের লেক পাড়ে সমাগম কম দেখা যায়। পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত না করা গেলে অতিথি পাখি আর আসবে না বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, আগে যে পাখি ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মুগ্ধতার কারণ তা এখন যেন কংক্রিট বিল্ডিং এর কারণে বিলুপ্তির পথে। আমাদের ক্যাম্পাসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেভাবে নষ্ট করা হচ্ছে তাতে এ ধরনের পাখি ভবিষ্যতে দেখা যাবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শীতের সময়ে জলাশয়ের অতিথি পাখিদের বিচরণ আমরা সবাই মুগ্ধতা নিয়ে দেখি। অতিথি পাখিদের অবাধ বিচরণ নষ্ট করার জন্য অনেকেই দায়ী।

অনেকেই ঢিল মেরে দেখে, পাখি উড়লে কেমন দেখা যায়। এগুলো বন্ধ করতে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের সহযোগিতায় আমাদের ক্যাম্পাস হয়ে উঠবে অতিথি পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত