পৃথিবী থেকে প্রনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির আদিবৃক্ষ। প্রকৃত পক্ষে আদিবৃক্ষ হারিয়ে যাওয়া পৃধিবীর জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবেশ ভালো রাখতে এসকল আদিবৃক্ষের অবদান আমরা একদিনে বুঝতে পারছি না। কারণ আমাদের পরিবেশ একদিনে নষ্ট বা দূষিত হবে না। খুবই ধীর গতিতে দূষিত হবে আমাদের পরিবেশ। বিজ্ঞানীরা এসকল বৃক্ষ টিকিয়ে রাখার জন্য চালিয়ে যাচ্ছে গবেষণা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আমাদের কারণেই আমাদের পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। এরকমই আদিবৃক্ষ যা শুধুমাত্র ইউরোপেই পাওয়া যায়। যা, এখন বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে।
ইউরোপের আদিবৃক্ষ প্রজাতির (যা শুধুমাত্র সেই অঞ্চলেই পাওয়া যায়) মধ্যে অর্ধেকেরও বেশিরভাগই বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ মহাদেশের প্রায় ৫৮ শতাংশ আদিবৃক্ষ প্রজাতির অস্তিত্ব বিপন্নের মুখে, ১৫ শতাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনকও। আদিবৃক্ষগুলো বিলুপ্ত হওয়া থেকে শুধুমাত্র একধাপ দূরে রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে বিপন্ন এ আদিবৃক্ষ নিয়ে কাজ করা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব ন্যাচার’ (আইইউসিএন) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এসকল তথ্য জানিয়েছে।
ইউরোপের বিপন্ন বৃক্ষরাজির বিষয়ে প্রথম এ বিশদ প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করেছেন ১৫০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ।
আইইউসিএন প্রকাশিত ‘ইউরোপীয় বৃক্ষের লাল তালিকা’য় শুধু এ মহাদেশই নয়, বাইরের এলাকার বিপন্ন বৃক্ষরাজি ও এর পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। এসব বৃক্ষ বিলুপ্ত হওয়ার পেছনে আগ্রাসী বৃক্ষ প্রজাতির বৃদ্ধি, পাশাপাশি শহুরে উন্নয়ন ও ব্যাপকহারে গাছ কাটাকে দায়ী করা হয়েছে।
বিপন্ন প্রজাতিগুলো রক্ষায় বেশ কিছু সুপারিশও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল সৃষ্টি, নজরদারি বৃদ্ধি, বন ও বৃক্ষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে আরও বেশি বেশি গবেষণা প্রভৃতি।
এর আগে, গত মে মাসে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী অন্তত ১০ লাখ উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল।