ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই নিজেকে আমাজন বর্ষাবনের প্রধানতম শত্রু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ার বলসানরো। এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়েও এবার তিনি একইরকম মন্তব্য করলেন। তবে তিনি এই দাবির পক্ষে কোনো ধরণের যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি। রয়টার্স
আমাজন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর সমালোচনা করেছেন বলসানরো। তিনি বলেন, প্রতারণামূলক তথ্য ব্যবহার করে কিছু দেশ তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে উপনিবেশবাদী চেতনার আদলে অসম্মানজনক আচরণ করেছে। তারা এমনকি ব্রাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সার্বভৌমত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ! বলসানরো সুইডিশ পরিবেশবাদী কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের বক্তৃতার পরদিন জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেন। জাতিসংঘে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব নেতার সামনে সাহসী গ্রেটা বলে, ‘আপনারা আমাদের স্বপ্ন ও শৈশব হরণ করেছেন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের পরিবেশ । মারা যাচ্ছে মানুষ । আর এদিকে আপনারা শুধু অর্থ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গালগল্প করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।’
ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীদের রক্ষায় তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন জানান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেকেই তাঁর নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ব্রাজিলজুড়ে আট লাখের বেশি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বাস। এরা ব্রাজিলের মোট অঞ্চলের প্রায় ১২ শতাংশ এলাকায় বাস করে। ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বেশির ভাগই আমাজন অঞ্চলের অধিবাসী। তাদের কিছু গোষ্ঠী এখনো বাইরের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং মূল ভূখ-ের সঙ্গে তাদের কোনো প্রকার যোগাযোগ নেই। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করা বলসানরো বারবার প্রশ্ন করেন, ব্রাজিলের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত এ অঞ্চলগুলো কি এভাবেই চলবে? তিনি উল্লেখ করেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সংখ্যার তুলনায় সেখানে অনেক বেশি জমি খালি পড়ে আছে। খননকাজ ও কৃষিকাজের জন্য প্রেসিডেন্টের এ অঞ্চল ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।