24 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ১০:৫৩ | ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি আমাদের পরিবেশ
বাংলাদেশ পরিবেশ

আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি আমাদের পরিবেশ

আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি আমাদের পরিবেশ

নদী, পাহাড় ও বন রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজই তো সেসব নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে প্রায়ই আমরা দেখি, নদী, পাহাড়, বনভূমি রক্ষায় এসব কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

এমনকি নানা মহলকে সুবিধা দিতে গিয়ে প্রকৃতি বিনষ্টেও জড়িয়ে পড়ে তারা। যেমনটি আমরা দেখছি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। সেখানে জাহাজভাঙা কারখানা করার জন্য কোহিনুর স্টিল নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বনভূমি ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন।

সেই কারখানা চালু করার জন্য কোম্পানিটিকে পরিবেশগত ছাড়পত্রও দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একটি বনভূমি ধ্বংস করতে দায়িত্বশীল সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো কি তাহলে একজোট হলো?



তবে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, এ দুই প্রতিষ্ঠানের এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকারের আরেকটি কর্তৃপক্ষ বন বিভাগ। বনভূমি ইজারা বাতিল করতে উপকূলীয় বন বিভাগ তাদের আইনি ও প্রশাসনিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগে ইজারাকে ‘পাকাপোক্ত’ করতেই এই পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত শর্তাবলি পূরণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোহিনুর স্টিল তা করেনি।

এখন পরিবেশগত ছাড়পত্র বাতিলের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকেও চিঠি দিয়েছে উপকূলীয় বন বিভাগ। এর আগে সেখানে কেওড়াবাগানের গাছ কাটার অভিযোগে গত ১৬ আগস্ট ও ২৫ সেপ্টেম্বর উপকূলীয় বন বিভাগ কোহিনুর স্টিলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে।



সীতাকুণ্ডের উত্তর সলিমপুর ও তুলাতলির ওই বনভূমি রক্ষায় শুরু থেকেই আইনি লড়াই করছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। তাদের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত দুই বছর আগে সেখানকার ইজারা বাতিল করে বন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তা না মেনে তথ্য গোপন করে ঠিকই একই গোষ্ঠীকে বনভূমিটি ইজারা দেওয়া হয়। এখন সেখানে জাহাজভাঙা কারখানা তৈরির কাজও শুরু করেছে কোহিনুর স্টিল। কোম্পানিটির মালিক আবুল কাশেমের লোকজন পুরো এলাকা পাহারা দিচ্ছেন।

আবুল কাশেমের দাবি, নিয়ম মেনে সব করা হচ্ছে। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের ভাষ্য, প্রতিষ্ঠানটি সেখানে ভূমি উন্নয়ন করেছে। অন্য শর্তগুলো পূরণ করবে আস্তে আস্তে।

তাই ছাড়পত্র পেয়েছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা, বন বিভাগের মামলা, পরিবেশবাদীদের আপত্তি সত্ত্বেও বনভূমিটি ইজারা দেওয়ার বিষয়টি নানা প্রশ্ন তৈরি করে।

এ জন্য কি জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত নয়? ইতিমধ্যে সীতাকুণ্ড এলাকায় নানা শিল্পকারখানার কারণে সেখানকার বনাঞ্চল হুমকির মুখে। অতএব, এই প্রশ্নবিদ্ধ ইজারা অবিলম্বে বাতিল করা হোক।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত