কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আবারো দেখা মিললো বিশাল আকৃতির মৃত ডলফিন। ভেসে আসা মৃত ডলফিনটি দেখা গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার মো. শফির বিল এলাকায় ।
মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের ফেইসবুক পেইজে লেখা হয়, ‘আসুন সচেতন হই’; আবারও সৈকতে ভেসে এল বিশাল আকৃতির মৃত ডলফিন’।
সৈকতে ভেসে আসা এবারের ডলফিনটি লম্বায় ১১ ফুট। কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্রসৈকত ইসিএ এলাকার মো. শফির বিল সাইক্লোন সেন্টারের উত্তর পাশে ভেসে ওঠে এই বিশাল দেহের ডিলফিনটি।
ভেসে আসা ডলফিনটি পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন স্ট্রেংদেনিং অ্যান্ড কনসলিডেশন অভ সিবিএ-ইসিএ প্রকল্পের মো. শফিরবিল ভিসিজির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মী মো. বদরুল আলম সৈকতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান।
কর্মী মো. বদরুল আলমের ধারনা সাগরে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে ডলফিনটি আটকা পড়ায় ডলফিনটির মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। প র বদরুল আলম ভিসিজি সদস্যদের সহযোগিতায় মৃত ডলফিনটি মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলেন।
এই ব্যাপারে সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সাগরে ডলফিন রক্ষায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এখনো কোন ধরণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
যার ফলে বার বার জেলেদের জালে আটকা পড়ে সাগরের এই নিরীহ প্রাণী ডলফিন মারা যাচ্ছে। কারণ যেসব মৃত ডলফিন ভেসে আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সবার গায়েই আঘাতের চিহ্ন। হয় দায়ের কোপের কিংবা জালে আটকা পড়া আঘাতের চিহ্ন।
এতে ধরে নেয়া যায় এখনো সাগরে জেলেদের সচেতনতা কিংবা কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে যতদিন না এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা জেলেদের সচেতন করা যাবে না ততদিন এভাবে সাগরে মারা যাবে এই ডলফিন। এ ব্যাপারে সাগরের ডলফিন রক্ষায় স্ব-স্ব দপ্তরকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ডলফিনের দুটি দলকে দেখা যায় খেলা যায়। আর সেখানে মোট ২০-২৫ টি ডলফিন ছিল। তবে গত দু’মাসে জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা গেছে ১২টি ডলফিন।
সূত্র: সময় নিউজ টিভি