বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরে পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। চীনের বায়ুৃদূষণ কমে এসেছে। কমে এসেছে ভারতের মতো বায়ুদূষণের তালিকায় থাকার দেশের বায়ূদূষণ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও বায়ুর মান ব্যাপাকভোবে উন্নতি ঘটেছে। বিশ্বের অন্যতম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত। সেখানে কার্বন নিঃসরণ কমেছে ব্যাপক হারে। কিন্তু বাংলাদেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও কমেনি বায়ু দূষণ আজ আবাও শীর্ষ স্থানে চলে এসেছে ঢাকা।
এয়ার ভিজ্যুয়াল ও সংস্থা নাসার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকা থেকে সরে গিয়েছে অনেক দেশ। কিন্তু বাংলাদেশ একদিক থেকে ভিন্ন। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর পরিবেশ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হলেও বাংলাদেশর ঘটেছে ঠিক তার বিপরীত। দেখা যাচ্ছে গত এক দিনের ব্যবধানে বায়ুর মান আরো খারাপ হয়েছে ঢাকার। আজ শনিবার (২১ মার্চ ২০২০) সকাল থেকে ঢাকা শহর দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে চলে আসে।
বায়ুদূষণ সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ভাস্য অনুযায়ী ধুলাবালী হচ্ছে বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস। আর মানুষ যখন ধুলাবালীর স্থান দিয়ে চলাচল করে তখন বিভিন্ন খোলা স্থানে থুতুও কফ ফেলে সেই থুতু ও কফ নিমিশেই ধুলাবালীর সাথে মিশে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ঢাকায় ধুলা দূষণ বাড়ছে, যার ফলে করোনার জীবাণু আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বায়ুদূষণ গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুস সালাম জানান, সাধারণত সাধারণ ধুলাবালির সাথে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা না। কিন্তু যদি কোনো করোনা রোগী থুতু ও কফ ধুলাবালির মধ্যে ফেলে তাহলে সেই ধুলাবালী যদি কোন মানুষের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেখান থেকে শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে।