গোমতী নদীর চরে আবাদ করা হয় নানা জাতের সবজি। চলতি মৌসুমে গোমতীর চরের বুড়িচং উপজেলা অংশে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে গোল আলুর আবাদ করেছে কৃষকরা।উপজেলার নদী তীরবর্তী ময়নামতি, ভারেল্লা উত্তর, ষোলনল, ভারেল্লা দক্ষিণ, পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা আলু আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর চারা যেন সবুজের সমারোহে ভরে তুলেছে গোমতী নদীর চর এলাকা। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষকদের।
এবদারপুরের কৃষকরা বলেন, গত বছর আলু উত্তোলন মৌসুমে বাজারে দাম কম হওয়ায় আলু চাষে তাদের আর্থিকভাবে লোকসান গুণতে হয়েছে। এ বছর আলুর দাম সেই অনুযায়ী ভালো পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
শ্রীপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমীন জনান, আলু গাছে ওষুধ প্রয়োগ, সেচ, সার, মজুরিসহ এক বিঘা জমিতে আলু চাষে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খেতের অবস্থা দেখে তিনি অনেক খুশি।
বুড়িচং উপজেলা কৃষিবিদ মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘এ বছর আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ৯ শত ৫০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে রোগবালাইও নেই, তাই ফলন খুবই ভালো হবে। ইতিমধ্যে উপজেলার গোমতী নদীর চর এলাকার কিছু কিছু স্থানে আলু তোলা শুরু হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছে, আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন তারা।’