এ মাসে কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে এবিষয়য়ে আগেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের কয়েকটি ঝড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ের কবলে পড়ে বসতবাড়ি সহ গাছের অনেক ক্ষতি হয়েছে । বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টির ফলে এবছর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপটি আগামী রাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আমপান’। এ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। তবে ২০ মের দিকে এর শক্তির মাত্রা ও কোথায় আঘাত করতে পারে, সেটি বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে।
এটি আজ সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।