দেশের সব উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক সামগ্রী আগামী একবছরের মধ্যে ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি ২০২০) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা’ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।সেই সাথে আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিকে হাইকোর্ট আগামী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি প্লাস্টিক বন্ধের ব্যাপারে কী কী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছে।শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্ট প্রডিউসার অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ ৮ জন বিবাদীকে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির জানান, বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে ২০০২ সালের একটি প্রজ্ঞাপনে পলিথিন নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।কিন্তু প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন−কটন বার্ড, প্লাস্টিক বোতল, প্লেট, ব্যাগ ও ফুড প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। দেশের ৫৪টি নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলা হচ্ছে। এর কারণে পানি, মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠন একটি রিট পিটিশন করি এবং রিটে বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক রোধের কার্যকর ব্যবস্থাগুলো আদালতে তুলে ধরা হয়।