অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্বাস্থ্য অফিসের
জরাজীর্ণ স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কার্যালয় ভবন। চারপাশে লতাপাতা ও গাছপালায় জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। তৈরি হয়ে ময়লার স্তূপ। ছাড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। প্রবেশ পথে মানুষ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। পুরো অফিস জুড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। স্বাস্থ্য অফিসই এখন অসুখ-বিসুখে জরজড়িত। এমন চিত্র বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য পরির্দশকের কার্যালয়ের।
সরেজমিনে দেখা যায়, নেই স্বাস্থ্য পরির্দশক। তালাবদ্ধ স্বাস্থ্য পরির্দশকের কার্যালয়। আশেপাশে গাছপালা ও ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠেছে অবৈধ স্থাপণা। নিদিষ্ট কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাদের ময়লা আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিনিত হয়েছে ভবনের চারপাশ।
ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও স্থানীয়দের। বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। স্বাস্থ্য বিভাগের পুকুরকে বানানো হয়েছে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। দেখে মনে হয় না এটা স্বাস্থ্য পরির্দশকের কার্যালয়।
অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ কাজ ছাড়া অধিকাংশ সময় অফিস থাকে তালাবদ্ধ। নেই সাইনবোর্ড। ওই সরকারি অফিসে কখনো টানানো হয় না জাতীয় পতাকা। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় অফিস।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য পরির্দশক নেই এখানে। যাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি থাকে পাশ্ববর্তী উপজেলা দশমিনায়। বিশেষ কাজ ছাড়া কর্তা ব্যক্তিরা অফিসে আসেন না। মাঝে-মাঝে অফিসে এসে হাজিরা দিয়ে চলে যান। বেশী ভাগই অফিসের কক্ষ তালা বদ্ধ থাকে।
অফিসের কোন খোজ-খবর রাখেন না।স্বাস্থ্য পরিদর্শকের হাট-বাজারে বিভিন্ন দোকানে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার কথা তাকলেও কিন্তু তা হচ্ছে না।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অফিসের স্বাস্থ্যই খারাপ। যারা জনগণকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরার্মশ দেয় যাতে অসুখ বিসুখ না হয়। এখন তাদের অফিসই অসুখ-বিসুখে জরজড়িত। নিয়মিত কার্যালয় না খোলায় দিবা-রাত্রি বহিরাগতের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে। মনে হয় দেখার কেউ নেই।জনগন তাদেরকে না পেয়ে ফিরে যায়।
এবিষয় স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কার্যালয়ের অফিস সহায়কের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বাউফলে স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্যার অন্যত্র বদলি হওয়ায় দায়িত্বে আছেন দশমিনা ও পটুয়াখালীর দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাহাবুদ্দিন স্যার।
তিনি মাঝে মাঝে আসেন। অফিসের বেহাল অবস্থার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, বলেন যে সব পরিস্কার করে দিবে। অফিসে তিনি নিয়মিত আসেন। নিয়মিত আসলে আজ কেন পাওয়া যায়নি এমন প্রশ্ন করলে কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে পরে ফোন দিবে ।
এবিষয় স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাহাবুদ্দিন বলেন, অফিস অপরিস্কার বসার মত ভাল স্থান না থাকায় স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কার্যালয় না এসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে কাজ করেন। অফিস সহায়ক অসুস্থ্য মাথায় সমস্যা আছে ১৫দিন পর্যন্ত অফিসে আসেন না।
বাউফল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত সাহা বলেন, বাউফলে স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদটি খালি কেহ আসতে চায়না। দশমিনা অফিস থেকে সাহাবুদ্দিন নামে একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক দেওয়া হয়েছে তিনি মাঝে মাঝে আসেন।
অফিসের চারপাশে গাছপালা ও ঝোপঝাড় দুই এক দিনে মধ্যে পরিস্কার করা হবে। অফিসে প্রবেশ পথে যাতে প্রসাব করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।