42.2 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:৪২ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
অস্বাভাবিক গরমে অতিষ্ঠ প্রাণিকুল
প্রাকৃতিক পরিবেশ

অস্বাভাবিক গরমে অতিষ্ঠ প্রাণিকুল

অস্বাভাবিক গরমে অতিষ্ঠ প্রাণিকুল

চলছে তীব্র তাপদাহ। ফলে শুধু মানুষই নয়, এমন অস্বাভাবিক গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রাণিকুল। কীভাবে এ গরমে সামলে উঠবে তারা? তাপমাত্রার সর্বোচ্চ পারদ এখন দেশের রাজশাহী অঞ্চলে ছুঁয়ে ঠাই পেয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এই তাপমাত্রাই প্রতিনিধিত্ব করছে আমাদের সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাকেও। গরমের এই ভয়াবহতা থেকে নিজেকে বাঁচাতে অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণীরাও বসে নেই।

তারা ঠিকই বিকল্প উপায় খুঁজে বের করে ফেলেছে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা হলেও রেসাস মেকাকরা নিজেকে এর থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।



চলমান তাপমাত্রায় মানব শরীরে সহজেই অস্বস্তির জানান দেয়। মানুষ তো না হয় গরম দূর করার জন্য বৈদ্যুতিক নানান আয়োজনে পূর্ণ হয়ে গরম নামক শব্দটিকে ঝাটাপেটা করে দূর করতে পারে তার গৃহকোণের অন্তঃপুর থেকে।

এভাবেই মানুষ নিজের শরীরকে দিয়েছে বিরমহীন আরাম, হিমেল সুখ। কিন্তু প্রাণিকুল? ওদের তো বৈদ্যুতিক সুবিধাদি নেই। তাহলে তারা কীভাবে এই গরমে মোকাবিলা করে?

বলাই বাহুল্য, প্রাণিজগতের বুদ্ধিমান এবং সামাজিক প্রাণী হলো বানর। আর সেভাবেই সে বুদ্ধি করে সবাইকে নিয়ে গরম তাড়ানোর বিচিত্র এ কৌশলটি রপ্ত করে ফেলেছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমত সেই কৌশলে ডুব দিয়ে নিজে এবং দলকে দূরে রেখেছে দৈনিক তাপদাহ থেকে।

তখন প্রচণ্ড তাপদাহ চলছিল। সুন্দরবনের প্রত্যেকটা প্রাণী যে যেভাবে পারে ছায়ার নিচে বা নিজেদের আশ্রয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু বানর লোমশ প্রাণী। অন্যপ্রাণীর থেকে বানরের শরীরের লোকগুলো বড়। হরিণ, বাঘ, বনবিড়াল প্রভৃতি প্রাণীদের সঙ্গে তুলনা করে বলছি যে, এদের শরীরের লোম তুলনামূলক বড়।



লোম বড় হওয়ার কারণে এদের গরমও বেশি অনুভূত হয়। আর গরম বেশি লাগার কারণে এরা নিজেদেরকে শীতল রাখার জন্য খালের পাশের গাছে উঠে পানিতে ঝাঁপ দেয়। ঝাঁপ দিয়ে পুরো দলবল নিয়ে পানির সাহায্যে গরমের উত্তাপ নিবারণের চেষ্টা চালায়।

দিনের বেশিরভাগ সময় পানিতে থেকে এভাবে নিজেদের শরীরটাকে ঠাণ্ডা রাখে। ওই খালের ভেতরই ওরা খেলাধূলা করে। খেলাধূলা থেকে শুরু করে অপরের সঙ্গে খুনসুটি পর্যন্ত এ সবকিছুই তারা পানিতেই করে থাকে বলে জানান আদনান।

আদনান আরো বলেন, বাকি সময়টুকু তারা ডাঙায় থেকে খাবার সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করে। ভোর এবং বিকেলে তারা খাদ্যগ্রহণে নিজেকে নিয়জিত রাখে। কারণ, তখন সূর্যের তাপ কম।

আর যে সময় সূর্য মাথার ওপর থাকে তখন তারা পানিতে নামে। সম্প্রতি সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের এ বানরগুলোকে এভাবে বিচিত্রভাবে খালপাড়ের পানিতে খেলা করতে দেখা গিয়েছিল।

কী বিচিত্র এবং দারুণ অপরূপ সে দৃশ্য! নিজ চোখে না দেখলে তা বিশ্বাস করা কঠিন। মা বানরটিও তার কোলের ছোট বাচ্চাটিকে নিয়েও পানিতে নেমেছিল বলে জানান আদনান আজাদ।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত