পৃথিবীতে মনুষ্যসৃষ্ট নানা দূষণের কারনে খুব দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে।বাংলাদেশে ও এর প্রভাব সক্রিয় থাকায় পরিবর্তনে ঘটছে বিভিন্ন ঋতুচক্রে।গ্রীষ্মের মৌসুমে তাপমাত্রা থাকে অত্যধিক, শীতের মৌসুম দেরিতে শুরু হওয়া ও শীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া আবার বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হয়ে অসময়ে বৃষ্টি হওয়া যা আমাদের ঋতুচক্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।এবারের বর্ষা অনেক দেরিতে শুরু হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনে সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
ঋতুচক্রের হিসাবে বর্ষা আসে জুনের একেবারে শুরুতে। অনেক সময় মে মাসেও চলে আসে দেশের সবচেয়ে বড় এই ঋতু। কিন্তু এবার বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল একটু দেরিতে। ২০ জুনে এসে বর্ষা সক্রিয় হয়, যার রেশ এখনো চলছে। ।
আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের বর্ষা যে শুধু দেরিতে এসেছে ও বিদায় নিচ্ছে তা নয়। গত ১৫ বছর বর্ষার আসা–যাওয়া দেরিতেই হচ্ছে। বর্ষার সময়কাল ১০ থেকে ১৫ দিন সরে যাচ্ছে। এর প্রভাবে আমন, আউশ ও সবজির উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। অসময়ের বৃষ্টির ফলে অনেক স্থানে এসব ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে বর্ষার সময়কাল আমরা ১৫ দিন সরে যেতে দেখছি। আগে মে মাসের শেষের দিকে বর্ষা শুরু হতো। আর শেষ হতো সেপ্টেম্বরের শেষে এসে। এখন দেখছি বর্ষা শুরু হতে জুনের মাঝামাঝি সময় লেগে যাচ্ছে। আর শেষ হতে অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চলতি অক্টোবর মাসের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তবে বঙ্গোপসাগরে এই মাসে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আর গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। রংপুরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।