টানা দু-দিনের বর্ষণের ফলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে টানা এ দুই দিনের বৃষ্টিতে উপজেলায় আমন ধান ও রবি মৌসুমের ফসলের ক্ষতি অনেক ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে রোপণকৃত বীজ ও ফসলে পচন ধরার শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। আশংকা করা হচ্ছে পানি দ্রুত না সরলে বড়ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে গত ৩ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে টানা দুই দিন ধরে মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, উপজেলায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। যার মধ্যে ১৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে এবং রবি মৌসুমের ফসলের আবাদ শুরু হয়েছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে পানসহ রবি মৌসুমের ফসলের বীজতলার মধ্যে খেসারি ডাল, মশুর ডাল, সরিষা, ভুট্টা ও আলুর ক্ষতি হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসী-পশুরবুনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আমন খেতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। অনেক কৃষক তাদের ফসল বাঁচাতে ক্ষেত থেকে আগাম ধান কাটা শুরু করেছেন। মোতালেব হাওলাদার নামে এক কৃষক বলেন, ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে তাদের ক্ষেতের আমন চারা মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এখনো ফসলের খেতের অনেক স্থানে পানি জমে রয়েছে। কৃষক আলী আকবর বলেন, ‘আমাগো কোমর ভাইঙ্গা দিয়া গ্যাছে অসময়ের বৃষ্টি। সারা বছর এই ফসলটার আশায় থাকি। কিন্তু সব শ্যাষ’।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিফাত আল-মারুফ বলেন, বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন আবহাওয়া ভালো হয়েছে। ক্ষেত থেকে দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। এরপর ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, রবি মৌসুমের ফসলের বীজতলা ও আমন ধানের জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পানি নিষ্কাশন হলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।