42.2 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
দুপুর ২:২৫ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরী করা হচ্ছে কয়লা, ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
পরিবেশ দূষণ

অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরী করা হচ্ছে কয়লা, ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

অবৈধ চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরী করা হচ্ছে কয়লা, ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার টালাবহ গ্রামে অবাধে চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা। এ কারণে অবৈধ চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। মানুষের শ্বাসকষ্টও হচ্ছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার ভেতরে টালাবহ গ্রাম। ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য হামিদ মিয়া ও তাঁর ভাইদের একটি বাঁশঝাড় আছে।



সেই জায়গা তাঁদের কাছ থেকে মাসিক ৪৮ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকার ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান ও মো. রেজাউল। তাঁরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় আটটি কয়লা তৈরির বিশেষ ধরনের চুল্লি তৈরি করেছেন।

সেই চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয়। কাঠ পোড়ানোর সময় নির্গত হয় প্রচুর কালো ধোঁয়া। কাঠ পোড়ানোয় একদিকে বনজ সম্পদ নষ্ট হয়, অপর দিকে ধোঁয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা রোগব্যাধি হচ্ছে স্থানীয় লোকজনের। কয়লা তৈরির এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কয়লা তৈরির কারখানায় অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। জনবসতি এলাকা ও ফসলি জমি নষ্ট করে এসব চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। লাল মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা চুল্লিতে প্রতিদিন কয়েক’শ মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালিয়াকৈর ও মির্জাপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় ওই চুল্লি বসিয়ে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। সেখান থেকে বের হওয়া ধোঁয়ায় আশপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এই ব্যবসা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (এইএনও) মৌখিকভাবে জানালেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। প্রভাবশালীদের ভয়ে এলাকায় প্রতিবাদ করা যাচ্ছে না।



টালাবহ গ্রামের বাসিন্দা জাকির বলেন, চুল্লিতে কাঠ পোড়ানোয় সৃষ্টি হচ্ছে ধোঁয়ার। রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচল করার সময় চোখ জ্বালাপোড়া করে। গাছপালা নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন।

চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য মুখগুলো মাটি ও ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খোলা মুখ দিয়ে আগুন দেওয়া হয় চুল্লিতে। আগুন দেওয়া শেষ হলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়।

পরে এই কয়লা শীতল করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ইটভাটার মালিকেরা এই কয়লার বড় অংশের ক্রেতা বলে জানা গেছে।

আলতাফ হোসেন নামে এক স্কুলশিক্ষক বলেন, এসব কয়লা কারখানার জন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সারা দিন ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ কিছু বলার সাহস পান না।

ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই অবৈধ কয়লার কারখানা বন্ধসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত