অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত ময়নাদ্বীপ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। হেমন্তের শেষে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়নাদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছে অতিথি পাখিরা। তাদের কলকাকলিতে রোজ মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
অতিথি পাখিরা সাধারণত শীতপ্রধান দেশ থেকে এদেশে আসে। তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্যে সুদূর তিব্বত, সাইবেরিয়া, হিমালয় পাদদেশ, মঙ্গোলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েকমাসের জন্য এদেশে আসে তারা।
প্রতিবছর শীত এলেই অতিথি পাখিরা ভিড় জমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়নাদ্বীপে। এ বছরও আগমন ঘটেছে অতিথি পাখিদের। এসব পাখিদের মধ্যে রয়েছে সরালি হাঁস, খুনতে হাঁস, বালিহাঁসসহ নানা জাতের পাখি। কুয়াশাজড়ানো সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে দ্বীপের পানিতে লাল শাপলা আর কচুরিপানা ফুলের ভিড়ে বিচরণ শুরু হয় অতিথি পাখিদের। পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে যায় দ্বীপ, মুখরিত হয় ক্যাম্পাস। যেন পাখিদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে নোবিপ্রবি প্রাঙ্গণ।
প্রতিদিন পাখিদের কলকাকলি দেখতে ভীড় জমে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের। আসেন বাহিরের পর্যটকরাও। ফটোগ্রাফাররা শখের ফটোসেশান করেন পাখিদের নিয়ে।
নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম তানজিম বলেন, অতিথি পাখিদের আগমনে শান্তিনিকেতনের আশপাশে যেন পাখিদের রাজ্য গড়ে উঠেছে। পাখিদের কিচিরমিচির প্রকৃতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করেছে। পাখিরা ভয় পায় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং তাদের সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী একিনা শাকি এশা বলেন, শীতের আগমনে অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত আমাদের ক্যাম্পাস। এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেন আরো বহুগুণে বেড়ে উঠছে। পাখি শিকার বন্ধ করে ও ময়নাদ্বীপকে পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে প্রতি বছর পাখির সংখ্যা আরো বাড়বে এবং সাথে সাথে বাড়বে নোবিপ্রবির সৌন্দর্যও।