টাঙ্গুয়ার হাওরে ভরা জোৎস্নায় প্রকৃতিকে উপভোগের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ১২থেকে ১৫সেপ্টেম্বর। এ সময় পূর্ণ ফসল চাঁদ হাওরে জ্যোৎস্না স্নান নিয়ে আসে পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুদের মনে স্বর্গীয় অনুভূতি। তাই টাংগুয়ার হাওর এ সময় পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
টাঙ্গুয়ার হাওরের আরেক নাম নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল।হাওর-জল-জ্যোৎস্না অবগাহেন ডাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সৌন্দর্য পিপাসু আর পর্যটন প্রিয় হাজার হাজার মানুষকে।পর্যটকদের আগমন চলতি মাসের ১২থেকে ১৫সেপ্টেম্বর কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান ।
বর্ষায় ভরা পূর্ণিমায় অথৈই জলে রূপালি ঢেউ, ছোটবড় নাও, জল জ্যোৎস্নায় অবগাহনে ডাকছে টাঙ্গুয়ার হাওর।গত কয়েক বছর পূর্বে টাংগুয়ার হাওরকে আকর্ষণীয়ভাবে সবার সামনে তুলে ধরেন জোছনা উৎসব করে তাহিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল।
তিনি জানান, আজ আশা করি সবাইকে নিয়ে এই আনন্দ উৎসবটি করতে প্রশাসনসহ সবাই সহযোগিতা করবে। রুপালি চাঁদের অবারিত জ্যোৎস্না কাঁচের মত স্বচ্ছ জলে মরীচিকার সৃষ্টি হবে।তবে এবার টাংগুয়ার হাওরে জ্যোৎস্না উৎসব না করে মাটিয়ার হাওরে উৎসব করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকবে বাউল গানসহ কিছু আয়োজন। বিশাল জলরাশি হাওরের বুকে নৌকায় রাত্রি যাপন করে জোছনা উপভোগে পর্যটকদের আগমন বেড়ে যাবে।
পূর্ণিমাতে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নিয়েছে তাহিরপুর থানার ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ।তাদের সমন্বয়ে বিশেষ ২টি টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান।
তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য তারা সার্বক্ষণিক কঠোর নজরদারি ও যে কোন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য নৌকার মাঝিরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।
ঢাকা থেকে শ্যমালি, হানিফ বা এনার বাসে সরাসরি সুনামগঞ্জ ৫৫০টাকা ভাড়া। সুনামগঞ্জ থেকে লেগুনা, সিএনজি অথবা মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ১০০টাকা তাহিরপুর। যানবাহন থেকে নেমেই একটু পায়ে হাঁটা দূরত্বে পেয়ে যাবেন নৌকা। দরদাম করে ঠিক করে নিতে পারেন ৫থেকে ১২হাজার টাকার ভেতরে। বড় নৌকায় ২০ জন চড়া যাবে। এছাড়া ছোট নৌকায় ভাড়া নেয়া যায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। চাইলে কেউ স্পিডবোডও ভাড়া করতে পারেন। এরপর রাত বারোটা পর্যন্ত থেকে ফিরে আসতে পারেন কটেজে। কিংবা রাত্রিযাপন করতে পারবেন নৌকাতেই।