‘পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন’ শীর্ষক উন্মুক্ত কর্মশালায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা যেভাবে বর্জ্য উৎপাদন করছি, এটা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যকরভাবে বসবাসের জন্য পৃথিবীতে কোনো জায়গা থাকবে না। সব জায়গা বর্জ্য ঢেকে ফেলবে।সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সুন্দর রাখা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। আমাদের ক্যাম্পাস আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে যবিপ্রবির শেখ হাসিনা ছাত্রী হলে তিনি এসব কথা বলেন।উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এর ওপরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তৈরিকৃত প্রামাণ্যচিত্র কর্মশালায় প্রর্দশন করা হয়।
মেডিক্যাল বর্জ্য ও রান্নার বর্জ্য আলাদা ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় মানুষের শরীরে নানা কঠিন রোগ দানা বাঁধছে। এখন ক্যান্সারসহ অসংক্রামক ব্যধির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।সব বর্জ্যের মধ্যে মেডিক্যাল বর্জ্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এই বর্জ্য যখন রান্নাঘরের বর্জ্যের সঙ্গে মিশে একইসঙ্গে ব্যবস্থাপনা হচ্ছে, তখন সকল বর্জ্যই বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক।
হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। তা না হলে জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে এমন কিছু উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবককে আমরা বেছে নেব, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরে একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় কোনো জিনিস রিইউজ করতে না পারলে, সেটা রিফিউজ করতে হয়। বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশ। সুতরাং আমাদের পলিথিন কিংবা প্লাস্টিক রিফিউজ করার সক্ষমতা এখনো তৈরি হয়নি। তবে এগুলো রিইউজ করতে আমাদের উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের প্রভোস্ট ড. শিরীন নিগার, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মৌমিতা চৌধুরী, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট ফারহানা ইয়াসমিন, পূজা বৈদ্য প্রমুখ।
এছাড়া ওয়ার্কশপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।