সুন্দরবন রক্ষায় বাঘের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে: পরিবেশ উপমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব টিকে থাকলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব রক্ষা পাবে। যেদিন বাঘ থাকবে না সেদিন সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিপদসংকুল হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের হারবাড়িয়াতে বন বিভাগের সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প আয়োজিত সুন্দরবনে বাঘ জরিপে ক্যামেরা ট্র্যাপিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাঘের কারণে সুন্দরবন সারা পৃথিবীতে পরিচিত। বাঘের সঙ্গে দেশের নাম যুক্ত হয়ে বায়োলজিক্যাল নাম হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের ঐতিহ্য। সেটা ধরে রাখতে হবে। বাঘ সুন্দরবনকে রক্ষা করে আর সুন্দরবন উপকূল ও বাংলাদেশকে রক্ষা করে।’
পরিবেশ উপমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালে বাঘ নিরিবিলি থাকতে পেরেছিল, তখন সুন্দরবনে অনেক বাঘ দেখা যেত। বাঘ থেকে আমাদের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নিরূপণ করা হচ্ছে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ক্যামেরা ট্রাপিং করে বাঘ জরিপ চলছে। যে তথ্য উপাত্ত পাবো তা বিশ্লেষণ করে আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে প্রকাশ করা হবে।
সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. সুপ্রিয় চাকমা বলেন, এ পর্যন্ত যত সায়েন্টিফিক মেথড আছে তার মধ্যে বেস্ট মেথড হচ্ছে স্টিল ক্যামেরা ট্র্যাপিং মেথড।
সুন্দরবনের বাঘ অন্য দেশের তুলনায় জেলে ও মানুষ মারার রেকর্ড বেশি। সুন্দরবনে রাস্তা নেই। আমাদের খুঁজে বের করতে হয় সুন্দরবনে বাঘ কোথায় বেশি আছে।
জুনিয়র কনসালটেন্ট ড. হাসান আরিফ রহমান বলেন, বিশ্বে ১৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব ছিল। এখন ৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব নেই। এই ৩টি দেশ হলো ভিয়েতনাম, লাও এবং কম্বোডিয়া।
এসব দেশে বিপুল পরিমাণে বন আছে কিন্তু বাঘ নেই। ঐসব দেশে চোরা শিকারিরা বাঘ হত্যা করেছে। বাঘ রক্ষায় সচেতনতা বেড়েছে এখন। পৃথিবীতে বাঘের সংখ্যা ৩ হাজারে নেমে এসেছিল, সেখানে এখন বাঘের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, পূর্ব সুন্দরবন বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম প্রমুখ।