ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সব সময়ই ঢাল হয়ে সামনে থেকেছে সুন্দরবন। কমিয়েছে দেশের ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু কেমন আছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন? গবেষণা বলছে, মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বাড়ছে সুন্দরবনের নদী-খাল ও বনভূমিতে। ফলে ধীরে ধীরে চারা গজানোর হার কমছে সুন্দরী-গরানসহ প্রধান ১০ প্রজাতির গাছের। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বন বিভাগও।
প্রকৃতির এই সবুজ ভাণ্ডার সবসময়ই টানে ভ্রমণ পিপাসুদের। কেবল নয়নাভিরাম দৃশ্যই নয়, দুর্যোগ মোকাবিলায়ও ঢাল হয়ে সামনে থাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন।
পৃথিবীর অন্য ম্যানগ্রোভ বনের চেয়ে সুন্দরবনের গাছগাছালি অনেকটাই আলাদা। এখানে জন্মে সুন্দরী, গেওয়া, পশুরসহ নানা প্রজাতির গাছ। তবে শঙ্কার কথা হলো লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে কয়েক বছর ধরে চারা গজানোর হার কমছে সুন্দরী-গরানসহ অন্তত ১০ প্রজাতির গাছের।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন বলছে, ২০১০ সালে গড়ে প্রতি হেক্টরে সুন্দরী গাছের চারা গজায় ৫ হাজার ৫৫৬টি। ২০১৯ সালে তা কমে হয়েছে ৪ হাজার ১৯২টিতে। তবে বেড়েছে শুধু গেওয়া গাছের।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, অন্তত ৩৮ শতাংশ সুন্দরী গাছ আগামরা রোগে আক্রান্ত। ২০ শতাংশ গেওয়া শেকড় পচন আর ৫০ শতাংশ পশুর গাছ আক্রান্ত হার্ট রট রোগে।
বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছিলো বন বিভাগকেও। কর্মকর্তারা সে সময় জানান, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সুন্দরবনে মোট গাছের ৬৪ শতাংশ সুন্দরী, ১৬ শতাংশ গেওয়া আর পশুর রয়েছে ১ শতাংশ। সূত্র: channel24